কলকাতা: এই মুহূর্তে খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রটি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। কিন্তু সে ভোটে শাসকদলের মুখ কে হবেন তা নিয়ে নানা গুঞ্জন। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই জল্পনা খড়দহে শাসকদলের মুখ এই বর্ষীয়ান নেতাই। যদিও দলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু এখনও জানানো হয়নি। তবে জল্পনা আরও খানিক উস্কে মঙ্গলবার খড়দহে যাচ্ছেন তিনি। একটি জনসংযোগমূলক কর্মসূচিতে অংশও নেবেন। অর্থাৎ দুইয়ে দুইয়ে চার ধরেই নেওয়া যায়, বলছে রাজনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার খড়দহ ফেরিঘাটের পাশে আয়োজন করা হয়েছে একটি খাদ্য বিতরণের অনুষ্ঠান। নাম দেওয়া হয়েছে ‘দুয়ারে ভোজন’। সেই অনুষ্ঠানেই অংশ দেবেন খড়দহে সম্ভাব্য প্রার্থী শোভনদেব। এই অনুষ্ঠান থেকে ১ হাজার খাবারের প্যাকেট ও ওষুধ দেওয়া হবে এলাকার মানুষকে।
ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তিনি। সে পদে রয়েছেন। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার দেওয়ার দিন তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মন্ত্রী থাকবেন কি না? পরিমিতভাষী শোভনদেববাবু বলেছিলেন, এখনও দল তাঁকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বলেনি। বোঝাই গিয়েছিল, তা দল বলবেও না। তবে ছ’ মাসের মধ্যেই তাঁকে অন্য কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: অ্যাম্বুলেন্স-শকটের জন্য টেন্ডার ডাকা সারা, কিন্তু সাংসদ তহবিলের টাকা পাচ্ছেন না তৃণমূলের সাংসদরা
এদিকে খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার মৃত্যুর পর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের কথা ঘোষণা হয়। তবে শাসকদলের প্রার্থী হিসাবে প্রথমে জল্পনা ছিল অমিত মিত্রের নাম। পরে সে নাম নিয়ে বিশেষ নাড়াচাড়া হয়নি। বরং অনেক বেশি উঠে আসে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নাম।
সূত্রের খবর, তাঁকে প্রথমে রাজ্যসভায় পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল দল। কিন্তু সে প্রস্তাবে রাজি হননি স্বয়ং শোভনদেবই। তৃণমূল সূত্রের খবর এরপর খড়দহে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য শোভনদেবের নাম বিবেচনায় আনা হয়েছে। যদিও দলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও নাম ঘোষণা হয়নি। তবে এই কোভিড পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কলকাতা থেকে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে যখন বর্ষীয়ান এই নেতা কর্মসূচিতে যাচ্ছেন, অন্য কোনও সমীকরণ রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এদিন সামাজিক ওই কর্মসূচি সেরে প্রয়াত বিধায়ক কাজল সিনহার বাড়িতেও যাবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকার কথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাংসদ সৌগত রায়, বিধায়ক নির্মল ঘোষও।