কলকাতা: মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পর এবার তাঁকে জেরা নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে চায় ইডি। মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। এই মামলায় আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। ইডি সূত্রে খবর, মানিকের মোবাইল থেকে যে কথোপকথন উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে রয়েছে দুই রহস্যজনক নাম। বলা ভাল নামের নামের অ্যাব্রিভিয়েশন বা সংক্ষিপ্ত নাম, DD আর RK।
মানিককে গ্রেফতার করার পর তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সূত্রের খবর, সেই সেই মোবাইল ঘেঁটে বের করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন। সেখানে RK (আরকে) নামে কারও সঙ্গে কথা বলেছেন মানিক। তাঁকে বলেছেন, ‘তালিকা অনুমোদিত হয়েছে, অনুমোদন করেছে DD (ডিডি)।’ কে এই ডিডি? তিনি কেন তালিকা অনুমোদন করলেন? সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।
আগেই নিয়োগ দুর্নীতিতে ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ উঠেছে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। টেটে সাদা খাতা দেওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়েছে অযোগ্যদের। সঠিক পদ্ধতিতে টেটের মেরিট লিস্ট বেরোয়নি বলেও অভিযোগ। প্রাইমারি বোর্ড প্রশ্ন ভুল থাকার পরেও সকলের নম্বর বৃদ্ধি করা হয়নি। এমন সব অভিযোগের ভিত্তিতেই মানিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগ। যে নিয়োগের তালিকা নিয়ে মূল অভিযোগ, সেই তালিকা নিয়েই কি কথোপকথন চলেছিল হোয়াটসঅ্যাপে? মানিককে জেরা করে সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবে ইডি।
উল্লেখ্য, এর আগে ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছিল, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের মোবাইল খতিয়ে দেখে তারা একটি মেসেজ খুঁজে পেয়েছে। যেখানে পার্থকে কেউ বলছেন , ‘মানিক ইজ টেকিং মানি, যা তা ভাবে।’ শুধু তাই নয়, পার্থকে পাঠানো অপর একটি মেসেজে লেখা ছিল, ‘আবারও টাকা নিয়ে করবে, আবার কেস হবে, আবার পার্টি খাস্তা হবে। প্লিজ এটা দেখুন, লাভ (love)।’ সেই মেসেজ আবার মানিককেই ফরওয়ার্ড করেছিলেন পার্থ। অর্থাৎ কেলেঙ্কারির কথা জেনেও যে পার্থ প্রশ্রয় দিতেন, এমনটাই দাবি ইডি আধিকারিকদের।