Tilottama Case: তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিতে গান গেয়ে বিপাকে হোমগার্ড, কাজে আসতে ‘নিষেধ’ বসের, সোজা গেলেন হাইকোর্টে

Subrata Banerjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 16, 2024 | 3:51 PM

Tilottama Case: বছর পাঁচেক ধরে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে বেলঘড়িয়া থানায় ট্রাফিক হোমগার্ডের চাকরি করছিলেন কাশীনাথ। এরইমধ্যে তিলোত্তমার ঘটনায় যখন উত্তাল গোটা দেশ সেই আবহে ২১ অগস্ট একটি প্রতিবাদী গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন কাশীনাথ।

Tilottama Case: তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিতে গান গেয়ে বিপাকে হোমগার্ড, কাজে আসতে ‘নিষেধ’ বসের, সোজা গেলেন হাইকোর্টে
বিপাকে হোমগার্ড
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কলকাতা: শিরদাঁড়া সোজা নেই টি-শার্ট পরে করছিলেন ডিউটি, বুকে ছিল প্রতীকী অনশনকারী ব্যাজ! পুজোর কার্নিভ্যালের বিকালে সেই ‘অপরাধেই’ কলকাতা পুরসভার চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে আটক করে কলকাতা পুলিশ। যা নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। কলকাতা পুলিশকে ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবিতে সরবও হয়েছেন তপোব্রতর সতীর্থরা। এরইমধ্যে এবার তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিতে গান গিয়ে চরম বিপাকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে কর্মরত ট্রাফিক হোমগার্ড কাশীনাথ পাণ্ডা (৩৮)। অভিযোগ, তাঁকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সুবিচারের আশায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।   

সূত্রের খবর, বছর পাঁচেক ধরে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে বেলঘড়িয়া থানায় ট্রাফিক হোমগার্ডের চাকরি করছিলেন কাশীনাথ। এরইমধ্যে তিলোত্তমার ঘটনায় যখন উত্তাল গোটা দেশ সেই আবহে ২১ অগস্ট একটি প্রতিবাদী গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন কাশীনাথ। অভিযোগ, তাতেই রেগে লাল কাশীনাথের উপতলার অফিসাররা। কাশীনাথের স্পষ্ট অভিযোগ, গান পোস্টের পরই লাগাতার নির্যাতনের মুখে পড়েছেন তিনি। হুমকি তো চলেছেই সঙ্গে মানসিক নির্যাতন, পদে পদে হেনস্থা করা হচ্ছিল। এখানেই শেষ নয়। কাশীনাথের আরও অভিযোগ, অক্টোবর মাসের শুরু থেকেই কোনও অভিযোগ ছাড়াই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর গত ১০ অক্টোবর কোনও কারণ না দেখিয়ে তাকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, এভাবে কী চাকরি থেকে কাউকে বসিয়ে দেওয়া যায়? প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কাশীনাথ। 

কাশীনাথ জানাচ্ছেন, আরজি করের ঘটনায় তিনি শুরু থেকেই খুব বিচলিত ছিলেন। সে কারণেই একটি ভক্তি গীতিকে কিছুটা নিজের মতো পরিবর্তন করে গান করেন। কিছু লাইন জোড়ের মূল গানের সঙ্গে। কিন্তু তারপরই তিনি তাঁর বসেদের টার্গেট হয়ে যান। যদিও তাঁর দাবি, মত প্রকাশ তাঁর মৌলিক অধিকার। কিন্তু সেই বাক স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তাঁর স্পষ্ট প্রশ্ন, পুলিশে চাকরি করলেও কী প্রতিবাদ করা যাবে না? গত ১১৪ অক্টোবর বিচার চেয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেদিন বিচারপতি পার্থসারথি সেনের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। পরবর্তী শুনানি ১৮ অক্টোবর।

Next Article