Soumitra Khan: বঙ্গ বিজেপিতে বড় রদবদল, অর্জুন দল ছাড়তেই শ্রমিক মোর্চার কাজ সামলাবেন সৌমিত্র

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

May 24, 2022 | 8:16 PM

Soumitra Khan: “ভাইপোর হাতে আমি বলি হব না”, বিজেপি ছাড়তেই নাম না করে অর্জুনকে কটাক্ষ বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁর।

Soumitra Khan: বঙ্গ বিজেপিতে বড় রদবদল, অর্জুন দল ছাড়তেই শ্রমিক মোর্চার কাজ সামলাবেন সৌমিত্র
ফাইল চিত্র

Follow Us

কলকাতা: অর্জুন দল ছাড়তেই বিজেপির (BJP) সাংগঠনিক স্তরে বড় রদবদল। বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে এলেন সৌমিত্র খাঁ(Soumitra Khan)। অর্জুন দল ছাড়াতেই নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এর আগে তিনি বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরেই অর্জুনকে শ্রমিক মোর্চার দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হল। এদিকে নতুন দায়িত্বেই এসেই দলত্যাগী অর্জুনের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায়া আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খান(BJP Leader Soumitra Khan)। 

অর্জনের দলবদল সম্পর্কে বলতে গিয়ে সৌমিত্র বলেন, এর আগে যখন মুকুল রায়, সুজাতা বা আরও অনেকে তৃণমূলে যোগদান করেছিল, তখন আমার দিকে অনেকে আঙুল তুলছিলেন। অনেকেই বলেছিলেন আমিও শীঘ্রই নাকি তৃণমূলে যেতে পারি। কিন্তু আমি তখনও বলেছিলাম, বাংলার চতুর শেয়াল হচ্ছেন ভাইপো বন্দ্যোপাধ্যায়।  এই চতুর শেয়াল যেদিন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সরে যাবেন তখন আমি তৃণমূলে ফেরার কথা ভাবব। কারণ সবকিছুর মূলে রয়েছে চতুর শেয়াল হরিদাস ভাইপো”।

এখানেই না থেমে সৈমিত্র আরও বলেন, ”অর্জুনদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক বরাবরই ভাল ছিল। কিন্তু, রাজনৈতিক সম্পর্ক আর ব্যক্তিগত সম্পর্ক আলাদা জিনিস। তাই চতুর শিয়ালের হাত ধরে কখনও পাঁঠাবলির মতো আমি বলি হব না। কারণ আমি চতুর শেয়ালের পতন দেখতে চাই”।  একইসঙ্গে বাংলায় উন্নয়ন নিয়েও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সৌমিত্র। তাঁর দাবি, “যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়, তার সমমূল্যের সরকারি কাজ রাজ্যে হচ্ছে না।  আপনারা শুনলে অবাক হবেন বীরভূম সহ আসানসোল, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়, তার সমপরিমাণ কাজ আমাদের এখানে হয় না। নদীর পাশে যাঁরা থাকে, মূলত বন্য কবলিত এলাকাগুলিতে নতুন করে বাঁধ তৈরি হচ্ছে না। জঙ্গলমহলের মানুষ খেতে পাচ্ছে না। উত্তরবঙ্গ যেমন বঞ্চিত, তেমনই আজকে রাঢ় বাংলাও বঞ্চিত”। তবে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে আসার পর তিনিই কী এবার ব্যারাকপুরের চট শ্রমিকদের দেখভালের দায়িত্বে থাকবেন? কারণ, এতদিনের এই অঞ্চলের পুরো দায়িত্বই ছিল অর্জুনের কাঁধে। তিনি আবার এই এলাকার সাংসদও বটে। এই প্রশ্নের উত্তরে সৌমিত্রর জবাব, “এ নিয়ে আলোচনা চলছে। সুকান্তদা-শুভেন্দুদা যা বলবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে”।

Next Article