কলকাতা: শব্দবাজির ক্ষেত্রে ১৯৯৯ থেকে একটি নিয়ম চালু ছিল রাজ্যে। সেখানে বলা ছিল বাজির শব্দের মাত্রা ৯০ ডেসিবেলের ওপরে হলেই তা বেআইনি। গত বছর পর্যন্ত সেই নিয়মই মেনে এসেছেন রাজ্যের বাজি ব্যবসায়ীরা। তবে এবার সেই নিয়মে বদল এনেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। শব্দের মাত্রা ৯০ ডেসিবেল থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করে দেওয়া হয়েছে। আদালতে মামলা হয়েছে, তবে তার শুনানি রয়েছে কালিপুজোর পরে। তাই আলোর পাশাপাশি কান ফাটানো শোনা যাবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ কারণেই কলকাতায় শব্দের মাত্রা ৯০ ডেসিবেল স্থির করে দেওয়া হয়েছিল। সেই মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা। তবে খুশি বাজি ব্যবসায়ীরা।
কেন বাড়ানো হল শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা? পরিবেশবিদদের দাবি, রাজ্যে গ্রিনবাজির ক্লাস্টার এখনও সম্পূর্ণভাবে গড়ে ওঠেনি। ৪০ শতাংশের বেশি পরিবেশবান্ধব বাজি আমদানি হয় শিবকাশি বা দক্ষিণ ভারত থেকে। এদিকে, CSIR ও NEERI-র ধার্য করা গ্রিন বাজির শব্দমাত্রা ১২৫ ডেসিবেল। ফলে বাইরের রাজ্যে গ্রিন বাজি সেই গাইডলাইন মেনেই তৈরি হচ্ছে। তাই এই মাত্রা মেনে নিতে হচ্ছে রাজ্যকে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, এতদিন পর্যন্ত শব্দবাজির শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা ১২৫ ডেসিবেল বলে ধরা হলেও রাজ্যে তা ছিল ৯০ ডেসিবেল। এর অন্যতম কারণ হল, পশ্চিমবঙ্গের জনঘনত্ব বেশি। ঘনবসতি রয়েছে, খোলা জায়গারও অভাব রয়েছে। সে কারণেই অনেক কিছু বিবেচনা করে ৯০ ডেসিবেল ধার্য করা হয়েছিল।
গত মাসের ১৭ তারিখ নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছে সবুজ মঞ্চ। সেই মামলায় হলফনামা দিতে বলা হয়েছে তিন সপ্তাহ পর। ততদিনে কালিপুজো ও দীপাবলি হয়ে যাবে। ফলে এবারের আলোর উৎসবে শব্দে বুক কেঁপে উঠতেই পারে।
এদিক, বাজি ব্যবসায়ীদের আশা, এবছর কয়েকগুন বাড়তে পারে ব্যবসা। সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, সারা দেশে শব্দের মাত্রা ১২৫ ডেসিবেল। এটা আমরা এতদিন ধরে বোঝাতে পারিনি। এ বার বোঝাতে পেরেছি।