১৬ জুলাই মুকুলের ‘বিধায়ক ভাগ্য’ নির্ধারণ, সাক্ষাৎ হতে পারে শুভেন্দু-বিমানের

Jun 24, 2021 | 6:41 PM

সম্প্রতি ৬৪ পাতার চিঠি দিয়ে মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

১৬ জুলাই মুকুলের বিধায়ক ভাগ্য নির্ধারণ, সাক্ষাৎ হতে পারে শুভেন্দু-বিমানের
অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ

Follow Us

কলকাতা: মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে পিটিশন জমা  দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতেই আগামী ১৬ জুলাই শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে পাঠিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। জল্পনা, এদিন দুপুরেই অধ্যক্ষের চেম্বারে যেতে পারেন বিরোধী দলনেতা। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা ও সেই আইন বলে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি নিয়ে ফের সরব হতে পারেন শুভেন্দু। যদিও বৃহস্পতিবারই নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘মুকুল রায় তো বিজেপির সদস্য।’ কিন্তু সূত্রের খবর, মুকুল যে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন, তা প্রমাণ সম্বলিত নথি পিটিশনে দাখিল করেছেন শুভেন্দু।

কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে সরব। প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন বিধানসভায় কার্যকর করিয়ে দেখানোর। এসবের মধ্যেই গত ১৮ জুন মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়ে ৬৪ পাতার পিটিশন দেন শুভেন্দু। যা কার্যত নজিরবিহীন। সেই পিটিশনে মূলত জানানো হয়, মুকুল রায়ের সঙ্গে এই মুহূর্তে তৃণমূলের কী সম্পর্ক, কবে তিনি দল বদল করেছেন, অন্যান্য রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কী ভাবে কার্যকর হয়েছে —এই সমস্তই। গত শুক্রবারই অধ্যক্ষের দফতরে ওই চিঠি গৃহীত হয়।

এরপরই ১৬ জুলাই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দেন বলে সূত্রের খবর। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “আমায় ডেকেছেন। আমরা যে বিধায়ক পদ খারিজের জন্য চিঠি দিয়েছিলাম তার প্রেক্ষিতে ডাকা হয়েছে। আমরা যাব।” অন্যদিকে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “ওরা চিঠি দিয়েছে। নিয়ম কানুন যেমন রয়েছে সেইমতোই ওদের কী বক্তব্য শুনব। আইন মেনেই পদক্ষেপ করা হবে।”

আরও পড়ুন: ‘টাকা যা লাগবে দিব, নম্বর বাড়াতেই হবে’, নবমের রেজাল্ট নিয়ে প্রধান শিক্ষককে চাপ পড়ুয়া-অভিভাবকদের

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে এর আগে আবদুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তীরাও চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। এবার তা অনেকটাই দ্রুত হল। চিঠি পাওয়ার এক মাসের মধ্যেই ডাক পেলেন বিরোধী দলনেতা।

Next Article