কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছেন, আয়কর দফতরের থেকে তাঁর চপার ও নিরাপত্তাকর্মীদের তল্লাশি চালানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। আর তারপর থেকেই হইচই পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। লোকসভা ভোটের মুখে এজেন্সির এই সক্রিয়তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে শাসক শিবির। যদিও আয়কর দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুপুর আড়াইটে নাগাদ আয়কর দফতরের একটি টিম বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়নি। কিছু প্রযুক্তিগত ও পদ্ধতিগত সমস্যার কারণে তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, এদিন বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে অভিষেকের চপার ঘিরে তৃণমূলের দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় চারদিকে। জানা যাচ্ছে, এদিন দুপুরে বেহালা ফ্লাইং ক্লাবের ভিতরে অভিষেকের চপারের ট্রায়াল রান চলছিল। সেই সময়েই এই ঘটনা ঘটে। কলকাতা পুলিশের টিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের ঘটনার কথা জানিয়ে এক্স হ্য়ান্ডেলে আবারও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উস্কে দিয়েছেন। অভিষেক টুইটে কড়া বার্তা দিয়েছেন, ‘জমিদাররা সর্বশক্তি লাগিয়ে দিলেও বাংলার প্রতিরোধকে টলাতে পারবে না।’
এদিনের ঘটনা-পরম্পরা যেভাবে এগিয়েছে, তাতে বিকেলের দিকে নির্বাচন কমিশনের একজন অফিসারও ঘটনাস্থলে যান বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এদিন সন্ধেয় কালীঘাটে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখান থেকে বেরোনোর সময় অভিষেককে প্রশ্ন করা হয়েছিল বেহালা ফ্লাইং ক্লাব বিতর্ক নিয়ে। তবে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
এদিকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও আবার এই ঘটনার প্রসঙ্গে বলেছেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। তাঁর বক্তব্য, যে কোনও লোকের গাড়ি কিংবা চপার তল্লাশি করা যেতে পারে।