কলকাতা: দিল্লিতে অভিষেক আটক হওয়ার পরই তার আঁচ এসে পড়েছিল বাংলায়। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ চলেছে। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপির রাজ্য অফিসের সামনেও। বাদ পড়েনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের রাজ্য দফতরও। সেদিন রাতে কলকাতায় আরএসএস-এর রাজ্য সদর কার্যালয় কেশব ভবনের বাইরেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। এমন পরিস্থিতিতে এবার কেশব ভবনের বাইরে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের চিন্তা ভাবনা চালানো হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর। তবে কেশব ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, তারা এখনই এসব চাইছে না। যদিও গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের উপরেই ছেড়ে দিচ্ছে কেশব ভবন।
উল্লেখ্য, যেদিন দিল্লিতে অভিষেক আটক হয়েছিলেন, সেদিন কলকাতাতেই ছিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। আরএসএস-এর রাজ্য দফতরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা, সেই সময় কেশব ভবনের ভিতরেই ছিলেন মোহন ভাগবত। সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান। জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকেন তিনি। মোহন ভাগবত কলকাতায় আরএসএস রাজ্য দফতরে থাকাকালীন বাইরে এই বিক্ষোভের কথা দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছতে বেশি সময় লাগেনি। সূত্রের খবর, সেদিন ঠিক কী হয়েছিল, সেই বিষয়টি সবিস্তারে জানতে চাওয়া হয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে। আর এরপরই কেশব ভবনের বাইরের চত্বরে সুরক্ষার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গতকালই কলকাতায় বঙ্গ বিজেপির সদর কার্যালয়ের সামনের চত্বর ফুল, গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হয়েছিল। নেতৃত্বে ছিলেন উত্তর কলকাতার বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষ। মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপির রাজ্য অফিসের বাইরেও। তারপরই গতকাল এই ‘শুদ্ধিকরণ’ চালিয়েছিল বিজেপি।