কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজধানীতে গিয়ে সুর চড়ানোর টার্গেট নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আগামী ২ অক্টোবর দিল্লিতে ধরনায় বসার টার্গেট ঘাসফুল শিবিরের। তৃণমূল চাইছে রামলীলা ময়দানে অবস্থান বিক্ষোভে বসতে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে পুলিশি অনুমতি নিয়ে। দিল্লি পুলিশের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপর তৃণমূলের তরফে আবার চিঠি দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। রামলীলা ময়দানে পুলিশি আপত্তি থাকলে বিকল্প হিসেবে তৃণমূল তিনটি জায়গার কথা বলছে – যন্তর মন্তর, কৃষি ভবনের বাইরে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বাসভবনের বাইরে। সেক্ষেত্রেও যদি কোনও কারণে অনুমতি না পেলে, তবু হাল ছাড়তে নারাজ ঘাসফুল শিবির।
রাজ্যের শাসক শিবির সূত্রে খবর, ২ অক্টোবর দিল্লিতে ধরনা হবেই, তা বুঝিয়ে দিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কোথাও যদি অনুমতি না পাওয়া যায়, তাহলে রাজঘাটে প্রতীকী প্রতিবাদে করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাছাই করা সাংসদরা প্রতীকী প্রতিবাদে যোগ দিতে যাবেন বলে খবর।
এর আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রেড রোডে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিন ধরে ধরনা চলে। সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামীর প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে দিল্লিতে গিয়ে। সুর চড়িয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রয়োজনে ট্রেন ভর্তি করে দিল্লিতে লোক নিয়ে গিয়ে ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।
এরপর একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লিতে গিয়ে প্রতিবাদ হবে। পরে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বেহালা থেকেও সেই কথা শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।
সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে পুলিশি অনুমতি নিয়ে। রামলীলা ময়দানে আপত্তি জানাচ্ছে পুলিশ। তাই বিকল্প হিসেবে যন্তর মন্তর, কৃষি ভবনের বাইরে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বাসভবনের বাইরে প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি চাইছে তৃণমূল। কোনও কারণে, তাতেও যদি অনুমতি না মেলে, সেক্ষেত্রে রাজঘাটে প্রতীকী প্রতিবাদে করার চিন্তাভাবনা চলছে তৃণমূলের অন্দরে, দলীয় সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে।