TV9 বাংলা ডিজিটাল: ফলাও করে কানন গিয়েছিলেন পদ্মশিবিরে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ‘ছায়াসঙ্গী’ও। তারপর আচমকাই রাজনীতির আঙিনা থেকে কার্যত শীতঘুমে চলে গিয়েছিল বঙ্গ-গুগলে সবচেয়ে ট্রেন্ডিং নাম ‘শোভন-বৈশাখী’। ১৪ মাসের ব্যবধানে ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠতে চলেছেন তাঁরা। একুশের বঙ্গসফরে এসে শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baishakhi Banerjee) সঙ্গে অমিত শাহর (Amit Shah) সাক্ষাত যেন ‘এনার্জি বুস্ট’এর কাজ করল ।
বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতায় অমিতের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শোভন-বৈশাখী। এর আগে যে ভাবে নরেন্দ্র মোদী, অমিত, জেপি নাড্ডাদের একাধিক কর্মসূচি এড়িয়ে গিয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, তাতে এই নৈশবৈঠক ‘বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। পদ্ম শিবিরে যোগদানের প্রায় ১৪ মাস পরে ফের বিজেপি–তে সক্রিয় হয়ে উঠছেন তাঁরা। অমিত শাহের এই সফর-সূচিতে শোভনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি ঠিক ছিল না। শেষবেলায় দেখা হয় তাঁদের। আর তাতেই জল্পনা বেড়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, শোভন–বৈশাখীকে অমিতের সঙ্গে বৈঠকে বসাতে বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় । যেভাবে নরেন্দ্র মোদী, অমিত, জেপি নাড্ডাদের একাধিক কর্মসূচি এড়িয়ে গিয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, তাতে রাজনৈতিক মহল মনে করতে শুরু করেছিল ফের তৃণমূলেই ফিরছেন শোভন। কিন্তু শাহর সঙ্গে শোভনের বৈঠক স্পষ্ট করে দিল পদ্মশিবিরেই থাকছেন তিনি।
একুশের নির্বাচনে ২০০ লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। লড়াইয়ের ময়দানে এই শোভন-বৈশাখীও যাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন, তাতে উদ্যোগী হন কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। একুশে বিধানসভা নির্বাচন। এর উপর বাংলায় রয়েছে পুরসভা নির্বাচনও। শোভন সেখানে বড় ফ্যাক্টর। ভোটবাক্স ভরাতে কাউকে হাতছাড়া করতে চাইছে না বিজেপি শিবির। এই বৈঠক সেই বার্তাই দিল।