কলকাতা: আবারও অমানবিক শহর! বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ৭ বছরের শিশুকে (Special Child) স্পিচ থেরাপির ক্লাস করানোর সময় শারীরিকভাবে হেনস্থা ও আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে এক স্পিচ থেরাপিস্টের বিরুদ্ধে। শুধু অভিযোগ ওঠা নয়, স্পিচ থেরাপি ক্লাসরুমের সিসিটিভি ফুটেজেও ঘটনাটি ধরা পড়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটার (Beliaghata) একটি বেসরকারি সংস্থায়। সিসিটিভি ফুটেজের সত্যতার কথা স্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। ওই বেসরকারি সংস্থা এবং শিশুটির পরিবারের তরফে বেলেঘাটা থানায় ওই স্পিচ থেরাপিস্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ৭ বছরের শিশুটিকে স্পিচ থেরাপিস্টের হেনস্থা করার ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ জুলাই। যদিও অভিভাবকের উপস্থিতিতেই স্পিচ থেরাপির ক্লাস হওয়ার কথা। কিন্তু, সেদিন স্পিচ থেরাপিস্ট আধঘণ্টার জন্য শিশুটিকে আলাদাভাবে ঘরে নিয়ে গিয়ে ক্লাস করান বলে অভিযোগ নির্যাতিতের মায়ের। তিনি জানান, ক্লাস থেকে বেরোনোর পরই শিশুটি অস্বাভাবিক আচরণ করে। শিশুটির উপর যে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে, তার চিহ্নও শিশুটির শরীরে স্পষ্ট রয়েছে। ঘটনায় শিশুটি ট্রমাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ঘটনার পর কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও সে অপরিচিত কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে বলে শিশুটির দাদু জানিয়েছেন। এখন নাতির সঙ্গে খেলা করে তাকে স্বাভাবিক করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে বেলেঘাটা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা।
এদিকে, এই ঘটনার ব্যাপারে TV9 বাংলার তরফে অভিযুক্ত স্পিচ থেরাপিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কথা বলতে চাননি। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং মেসেজ করা হলেও ব্লক করে দিয়েছেন। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কিন্তু, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে ওই স্পিচ থেরাপিস্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলেই কী সমস্যার সমাধান হবে! সাম্প্রতিককালে শহরের বুকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু কিংবা কিশোরকে হেনস্থা করার বেশ কয়েকটি ঘটনা উঠে এসেছে। যার ফলে আতঙ্ক গ্রাস করছে। এ কোন শহর দেখছে কলকাতার নাগরিক? -এখন এটাই সকলের প্রশ্ন।