কলকাতা: কথা বলতেন শ্রেণি সচেতনতা নিয়ে। সরব হতেন সামাজিক বৈষম্য নিয়েও। করতেন ‘ক্লাস স্ট্রাগেল’। কিন্তু, সবটাই কী মেকি? পুরোটাই কী ছদ্ম রাজনীতির সংগ্রাম? তা নিয়েই এখন জোর জল্পনা সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিছুদিন আগে পঞ্চায়েত ভোটের বেলাগাম হিংসা নিয়ে হয়েছিলেন সরব। প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের শিক্ষা-স্বাস্থ্যের বেহাল দশা নিয়ে। শাসক বিরোধী ফেসবুকে পোস্টে সাফ লিখেছিলেন, ‘ক্ষুদ্র ব্যক্তি লালসা আর কিছু দান যেখানে মোক্ষম অস্ত্র, সেখানে এই রক্ত, খুন, নমিনেশন না করতে দেওয়া, ছাপ্পার মতো অগণতন্ত্র, কিংবা গ্রামসভা বসিয়ে একঘরে করা এসব স্বাভাবিক ঘটনা।’ ১২ জুলাই ফেসবুকে এই পোস্ট করেছিলেন যাদবপুরের বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরী। শুক্রবার রাতে যাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২০২২ সালে যাদবপুর থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। অভিযোগ, যাদবপুরের প্রথমবর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যুতে যোগ রয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর তাঁর বয়ানেও প্রচুর অসঙ্গতি পেয়েছে পুলিশ।
এদিকে স্বপ্নদীপের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গিয়েছিল সৌরভকে। বিচার চেয়ে দিয়েছিলেন পোস্ট। ১১ তারিখ বিকাল ৪টের সময় ঘটনার প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল সেই পোস্টও শেয়ার করেন হোয়াটসঅ্যাপে।
প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই স্বপ্নদীপ কুন্ডুর পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগ করা হয় হস্টেলের আবাসিকদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, সেখানেও ছিল এই সৌরভ চৌধুরীর নাম। পরিবারের অভিযোগ পেয়েই খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। তারপরই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সৌরভকে। পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই অনেক প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি সৌরভ। সূত্রের খবর, সিপি ও যুগ্ম কমিশনার ক্রাইম জিজ্ঞাসাবাদ করেন সৌরভকে।কসবা থানায় দফায় দফায় জিজ্ঞেস করেন গোয়েন্দারা। তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় বিকালেই করা হয় আটক। যদিও শেষে রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সৌরভের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তরজা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র বলছে, সৌরভ WTI, উই দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট করত। যারা সায়েন্স ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন চালায়।