কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক বিভাগে। নবম-দশম বা একাদশ-দ্বাদশের ক্ষেত্রে বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি-র বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। ভুয়ো নিয়োগের খোঁজ করতে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। এবার সেই মামলায় ১৫০ জনের ভুয়ো নিয়োগের কথা স্বীকার করল কমিশন। বুধবার এসএসসি-র গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সে কথা জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।
কতজনের বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, কমিশন ও সিবিআই-কে তা যৌথভাবে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইমতো দফায় দফায় বৈঠকেও বসেন কমিশন ও সিবিআই-এর কর্তারা। বুধবার কমিশনের তরফে জানানো হল, সিবিআই তাঁদের হাতে যে তথ্য দিয়েছিল, তা মিলিয়ে কমিশন দেখেছে নবম-দশমে ১৫০ জনের ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে।
সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হওয়ার অভিযোগও উঠেছে আগেই। সিবিআই-এর চার্জশিটেও রয়েছে সেই তথ্য। এরকম কতগুলি ওএমআর শিট সিবিআই পেশ করতে পারবে, তা এদিন জানতে চান বিচারপতি। সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, সার্ভার রুমের হার্ড ডিস্ক থেকে তারা ওএমআর শিট পেয়েছে। গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ, প্রতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪০ টি করে মোট ১৬০ টি ওএমআর শিট সিবিআই-এর হাতে এসেছে, যার মধ্যে ৮০ জনের নাম প্যানেলে আছে বলে দাবি করেছে কমিশন।
বিচারপতি জানান, এগুলি যাঁদের ওএমআর শিট, তাঁদের সবাই হয়ত চাকরি নাও পেতে পারে। তবে পরীক্ষামূলক ভাবে এই ওএমআর শিট মামলাকারীদের আইনজীবীদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, এর মধ্যে দিয়েই আদাতের কড়া পদক্ষেপ শুরু হোক। উল্লেখ্য, যাঁদের ব্যতিক্রমী বা বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তাঁরা পদত্যাগ না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।