কলকাতা: এসএসসি-র চার কর্তার মামলা শুনবেন না প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। ডিভিশন বেঞ্চে কে মামলা শুনবেন, তা দুপুর দুটোয় জানাবেন প্রধান বিচারপতি। সিবিআই দফতরে হাজিরা এড়াতে এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির চার কর্তা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। প্রধান বিচারপতি বেলা ১ টায় মামলাটি শোনেন। যেহেতু সোমবার সকালে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি সংক্রান্ত ১০টি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তাই এই মামলা এখন কে শুনবেন, সেটি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। সেক্ষেত্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ, সোমবারই চার কর্তাকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, বেলা দুটোয় প্রধান বিচারপতি না এই সিদ্ধান্ত না জানালে, চার কর্তার পক্ষে সিবিআই হাজিরা এড়ানো সম্ভব নয়।
শুক্রবারের শুনানিতেই সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট বলে দিয়েছিল, যদি এই চার কর্তা সিবিআই দফতরে না যান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু দেখা যায়, চার কর্তা গত শুক্রবার সিবিআই দফতরে যাননি। এদিন ফের এই মামলার শুনানি ছিল সিঙ্গল বেঞ্চে।
বিতর্কিত চার কর্তাকে এদিন সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদন করেন, যাতে তাঁদের অন্তত একটা দিন সময় দেওয়া হয়। তাঁরা যুক্তি দেখান, রায়ের অর্ডার কপি তাঁরা কেউই হাতে পাননি। তাই তাঁদের একটা অতিরিক্ত দিন দেওয়া হোক। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেটা একেবারেই মানতে চাননি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অত্যন্ত বিরক্তি প্রকাশ করেন তাতে। তাঁর বক্তব্য, চার কর্তা মোটেও ওতটা ‘ইনোসেন্ট’ নন, যে তাঁরা আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে অবগত নন। তাঁর যুক্তি, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাঁদের সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে। রাজ্য সরকারে আলাদা করে আপিল করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, এই চার জন এখনও পর্যন্ত সরকারি পদে বহাল রয়েছেন। তাহলে রাজ্য সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত তাঁদের কাছে কীভাবে পৌঁছছে না? চার কর্তার বক্তব্যে একেবারেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। পাশাপাশি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে নিশ্চিত করতে হবে, চার কর্তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থার দফতরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে।
আরও পড়ুন: স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করতে তৎপর সিবিআই