কলকাতা : স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়ে একগুচ্ছ মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। একাধিক মামলায় আদালতের নির্দেশে তদন্তও শুরু করেছে সিবিআই। এরকমই একটি মামলায় রিপোর্ট চেয়েও না পাওয়ায় কমিশনের চেয়ারম্যানকে তলব করেছিলেন বিচারপতি। সেই মত শুক্রবার আদালতে হাজিরা দিয়ে রিপোর্ট দিতে দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। আগেই এসএসসি-র তরফে আইনজীবী জানিয়েছিলেন অন্য একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এসএসসি-র সার্ভার রুম বর্তমানে সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে। তাই সার্ভার রুম থেকে ডেটা আনা যাচ্ছে না। এবার আরও একাধিক যুক্তি দিলেন চেয়ারম্যান। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে শুক্রবার ছিল ওই মামলার শুনানি। যুক্তি শোনার পর কোনও নির্দেশ দেননি বিচারপতি।
‘আমাদের ডেটারুম সিবিআই-এর হাতে রয়েছে। শুধুমাত্র আমাদের ঢোকার অনুমতি দিলেই আমাদের পক্ষে রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব নয়।’ আদালতে সাফ জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। হার্ডডিস্ক এবং সফটওয়্যার আবার ইনস্টল করতে হবে বলেও দাবি করেছেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, এসএসসি-র কাছে দুটি ইউপিএস আছে, যার মধ্যে একটি কাজ করছে না, দ্বিতীয় ইউপিএস-এর মাধ্যমে কাজ হচ্ছে।
চেয়ারম্যান আরও উল্লেখ করেন, কমিশনের তিনটি সার্ভার আছে- একটি ওয়েবসাইটের জন্য এবং বাকি দুটি তথ্য মজুত রাখার জন্য। একটি সার্ভার যথাযথভাবে কাজ করছে না বলেও আদালতে জানিয়েছেন তিনি। এই সার্ভারের সমস্যা কতটা গুরুতর সেটাও বুঝতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। আইবিএম-এর ইঞ্জিনিয়ার এসে সেগুলি ঠিক করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রিপোর্ট না জমা দেওয়ার কারণে গত ২২ জুন এসএসসি চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশ মেনেই এ দিন এজলাসে হাজির হয়েছিলেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে এই রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মামলা করেছিলেন পাঁচ চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের দাবি ছিল, মেধাতালিকার ওয়েটিং লিস্টে তাঁদের নাম ছিল। আর ওই তালিকায় যাঁদের নাম নীচের দিকে ছিল, তাঁদের কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যেহেতু এসএসসি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে, তাই এই মামলায় কোনও নির্দেশ দেননি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনও নির্দেশ দেবেন না তিনি।