কলকাতা : স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত মামলার সঙ্গে বহু চাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে। অযোগ্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে, যোগ্য প্রার্থীরা কবে চাকরি পাবে? সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। বেশ কয়েকটি মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু সেই তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, তা এবার আদালতে জানাবে সিবিআই। শুক্রবারই জমা পড়বে প্রথম স্টেটাস রিপোর্ট।
গত কয়েক মাসে এসএসসি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় সিবিআই-কে তদন্তভার দিয়েছে হাইকোর্ট। সেরকম চারটি মামলার স্টেটাস রিপোর্ট এ দিন জমা দেবে সিবিআই। কোন পথে তদন্ত এগোচ্ছে? তার বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তদন্তভার পাওয়ার পর এই প্রথমবার এই রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে সিবিআই। সেই রিপোর্ট ঘিরে উৎসাহ রয়েছে অনেকেরই।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তদন্তে সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তারপরই বৃহস্পতিবার এসএসসি মামলায় বিশেষ তৎপর হতে দেখা গিয়েছে সিবিআই আধিকারিকদের। বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁরা পৌঁছে যান মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস তথা ডিরোজিও ভবনে। সকালে পৌঁছে অ্যাডমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। কিন্তু মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় দীর্ঘক্ষণ অফিসে না আসায় তাঁকে কার্যত বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসেন আধিকারিকরা।
তবে বিচারপতির ভরসা ফিরে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছে সিবিআই। আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলেছেন, যাতে তিনি ভরসা রাখেন। আইনজীবী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টা দেখা হচ্ছে। সিবিআই নিয়ে বিচারপতি বলার পর জয়েন্ট ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আদালতকে আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, সিবিআই সবরকমভাবে চেষ্টা করছে। নতুন জয়েন্ট ডিরেক্টর যোগ দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। দিল্লি থেকে এক জন জয়েন্ট ডিরেক্টরকে নিয়ে আসা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে এসএসসি মামলায় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেছে সিবিআই। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকেও জেরা করা হয়েছে।