কলকাতা: প্রতিশ্রুতি পেলেও চাকরি পাননি। এই অভিযোগে পুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। ফের বিকাশ ভবন, আচার্য সদনের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের কাছেও নিয়োগের আবেদন করছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা।
মঙ্গলবার সকালে নাইন টু টুয়েলভ মেধা তালিকাভুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীরা বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন দিতে আসেন। তাঁদের বক্তব্য, সকলের নিয়োগ যাতে পুজোর আগে হয়, তার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা। মূলত শিক্ষামন্ত্রী ও প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যান তাঁরা।
নাইন টু টুয়েলভ মেধা তালিকাভুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীরা ৫৪১ দিন যাবৎ কলকাতা ধর্মতলার গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধরনা অবস্থান করছেন। কিছু দিন আগে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁদের। তাঁদের বক্তব্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার অনেক সদর্থক পদক্ষেপ হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে নিয়োগের ক্ষেত্রে সেভাবে সদর্থক ভূমিকা লক্ষ্য করছেন না তাঁরা।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ” আমাদের সকলের নিয়োগ যাতে পুজোর আগে হয়, তার জন্য এসেছি এবং বিভিন্ন দফতরে যাব। এখানে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হবে।”
তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও ৫৪ জনকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদের ভুলে চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন তাঁরা। সেই অভিযোগ নিয়েই মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় প্রাথমিক চাকুরি প্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ হয় সোমবার। পথনাটিকার মাধ্যমে প্রতিবাদ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা । কাউকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কাউকে মানিক ভট্টাচার্য সাজিয়ে পথনাটিকা। শিক্ষকদিবসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও পর্ষদ চেয়ারম্যানের আদলে সাজিয়ে পথনাটিকায় প্রতিবাদ। শিক্ষক দিবসে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে সেরা শিক্ষকের স্থান দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।