কলকাতা : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি-কে ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের গোঠা এআর হাইস্কুলে অনিমেষ তিওয়ারিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বাবা অর্থাৎ ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে গ্রেফতার করা হলেও, এখনও পলাতক তাঁর ছেলে অনিমেষ। গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, এখনও কেন গ্রেফতার করা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত ১৩ ফ্রেব্রুয়ারি গোঠা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এদিন তিনি জানতে চান, এখনও কেন গ্রেফতার করা গেল না অনিমেষকে? বিচারপতি বলেন, সিআইডি-কে আদালত বিশ্বাস করে। কিন্তু একজন শিক্ষককে গ্রেফতার করা গেল না! এই অভিযুক্তের বেতন বন্ধ করে দেব। অনিমেষ কীভাবে এতদিন বেতন পেতেন সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিচারপতি।
সিআইডি অফিসারদের কড়া বার্তা দিয়ে বিচারপতি বলেন, ডিআইজি সিআইডি-কে কি ডাকতে হবে আবার? প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসারদের জরিমানা চাপিয়ে বের করে দেব। চাকরি জীবনে যার প্রভাব পড়বে।
অভিযোগ ছিল, সুপারিশ পত্র ছিল না, এমনকী নিয়োগ পত্রও ছিল না অনিমেষের। অনিমেষ তিওয়ারির নাম যে সুপারিশ করা হয়নি, সে কথা আদালতে জানিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনও। সেই মামলাতেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এক আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমা রায় নামে এক চাকরি প্রার্থী অনিমেষের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। এরপর আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, আপাতত ওই শিক্ষক স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। বাবা আশিস তিওয়ারি প্রধান শিক্ষক থাকাকালীনই অনিমেষের নিয়োগ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে বছর নিয়োগ হয়, সে বছর স্কুল সার্ভিস কমিশনের কোনও পরীক্ষাই হয়নি। সেই ঘটনার তদন্ত নিয়েই এবার প্রশ্ন উঠেছে।