কলকাতা : একের পর এক মামলায় কার্যত নাজেহাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যোগ্য প্রার্থীকে চাকরি না দেওয়া, ভুয়ো প্যানেল তৈরি করা, দুর্নীতি, বেনিয়ম, পক্ষপাতিত্বের মত অভিযোগ সরাসরি উঠেছে কমিশনের বিরুদ্ধে। এবার সামনে এল কমিশনের আরও এক ভুল। উত্তরপত্রে ভুল থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের নম্বর দেওয়া হয়নি, এমন অভিযোগ তুলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একদল চাকরি প্রার্থী। সেই মামলায় এবার নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। একটি নয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুটি নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। দুটি ক্ষেত্রেই নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আনসার কি (যে ওএমআর শিটে উত্তর দিতে হয় পরীক্ষার্থীদের) যে ভুল আছে, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছে কমিশন।
এসএলএসটি নবম- দশম ও এসএলএসটি একাদশ- দ্বাদশের পরীক্ষা নিয়ে এই অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালেই এই দুই পরীক্ষা হয়েছিল। দুই ক্ষেত্রেই ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে ছিল ভুল। নবম- দশমের ইতিহাসে ৬ ও ৪০ নম্বর প্রশ্নের ও একাদশ- দ্বাদশের ক্ষেত্রে ১১, ১২ ও ২৩ নম্বর প্রশ্ন নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন মামলাকারীরা।
নবম-দশমের ক্ষেত্রে ২০ জন ও একাদশ-দ্বাদশের ক্ষেত্রে ২ জন মামলাকারী এই মামলা করেছিলেন।
কমিশনের ভুল হওয়া সত্ত্বেও এ ক্ষেত্রে তাঁরা কেন নম্বর পাবেন না, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা হয়। মামলাকারীর আইনজীবী দীব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এ দিন জানান, কমিশন তাদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে আদালতে। তারপরেই আদালত নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয়। আপাতত ওই মামলাকারীদেরই নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সব পরীক্ষার্থীকে নম্বর দেওয়া হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মামলাকারীদের দাবি, ওই সব প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে ওএমআর শিটে কোনও অপশনেই ঠিক উত্তরটা ছিল না। চারটি অপশনের সবকটাতেই ভুল ছিল। সোমবার আদালতে বই এনে সঠিক উত্তর খুঁজে বের করে দেখান মামলাকারীরা। কী কী উত্তর হতে পারে, সেটা দেখান। এরপর কমিশনের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয় যে, উত্তরপত্রে ভুল ছিল।
রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী সুতনু পাত্র জানিয়েছেন, এ দিন বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, যাঁরা ওই প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের নম্বর দেওয়া হবে। কমিশন পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখছে।