কলকাতা: মাসের পর মাস বেড দখল করে রয়য়েছেন প্রভাবশালীরা, আর বেড পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এমন অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এর বিরুদ্ধে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ক্ষেত্রে সেই প্রশ্ন প্রকট হয়েছে আরও। তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা পেতে যেখানে কালঘাম ছুটছিল ইডি-র, সেখানে একরাতেই সেই কাজ সম্পন্ন হল কীভাবে? যদি ‘ভদ্র কাকু’র শরীর এতটাই খারাপ, তাহলে ইএসআই হাসপাতালের চেক-আপে ধরা পড়ল না কেন? বুধবার রাত ১২ টার পর থেকে এই প্রশ্নগুলো আরও বেশি করে সামনে আসছে। এই আবহে বিশিষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকার মুখ খুললেন রাজনৈতিক ‘প্রভাব’ নিয়ে।
রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, যেখানে চিকিৎসা করাতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ যান, তার বিরুদ্ধে এত প্রশ্ন কেন? TV9 বাংলাকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কুণাল সরকার বলেন, “ডাক্তাররাও তো রক্ত মাংসের মানুষ। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও তাই।” তিনি আরও দাবি করেন, সব ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব রয়েছে। শুধুমাত্র বাংলায় নয়, সারা ভারতে এই পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। চিকিৎসক আরও উল্লেখ করেন, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেই নয়, পুলিশ, বিচার ব্যবস্থা সব ক্ষেত্রে প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
তবে কি চাপের মুখে শপথের কথাও ভুলতে বসেছেন চিকিৎসকেরা? কুণাল সরকারের বলেন, “এথিক্স তো সবারই থাকে। তবে বর্তমানে এথিক্স আর প্রশাসনিক প্রভাবের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।” কার্যত স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চাপের কথাই উল্লেখ করলেন কুণাল সরকার।
উল্লেখ্য, এসএসকেএম-এ থাকাকালীন বারবার তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা চাইতে গেলেও ফিরতে হয় ইডি অফিসারদের। তাঁদের বলা হয়েছিল, কন্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নয় সুজয়কৃষ্ণের। বুধবার আদালতের নির্দেশে তাঁকে জোকা ইএসআই-তে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চেক-আপ হয়। চিকিৎসকরা সবুজ সঙ্কেত দিলে তারপর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।