কলকাতা: সজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের ‘কাকু’র কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছে ইডি। বৈজ্ঞানিকভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট? এই বিশিষ্ট চিকিৎসকদের একাধিক মত। কোনও ব্যক্তিকে শনাক্ত করার জন্য কিছু নথিভুক্ত প্রক্রিয়া রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে জেনেটিক স্যাম্পেলিং বা ডিএনএ স্যাম্পেলিং, রেটিনাল ম্যাপিং কিংবা আঙুলের ছাপ। সেরকমই একটি শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া হল ভয়েস স্যাম্পেল পরীক্ষা। চিকিত্সকের কথায়, ভয়েস স্যাম্পেল কোনও ব্যক্তিকে শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে প্রায় ১০০ শতাংশ বিশ্বাসযোগ্য নথি।
জোকা ইএসআই হাসপাতালে ‘কালীঘাটের কাকু’-র গলার স্বরের নমুনা নিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, প্রথমে তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতে কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার আবেদন করতে হয়। আদালত অনুমতি দিলে ‘সাউন্ড প্রুফ’ ও ‘ইকো প্রুফ’ ঘরে নমুনা নেওয়া হয়। নমুনা নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় ভয়েস রেকর্ডার যন্ত্র। SD কার্ডে সেই নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক বিভাগ। তারপরে ফরেনসিক দফতরে সেই স্বরের নমুনা নিয়ে আসা হয়। সেখানে ভয়েস স্পেক্ট্রমিটার সফটওয়ারের লাইসেন্সড ভার্সনে পরীক্ষা হয়। নমুনা পরীক্ষার পর সরাসরি তদন্তকারী এজেন্সিকে পজিটিভ বা নেগেটিভ রিপোর্ট দেয় ফরেনসিক বিভাগ।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এরপরও কী কারও কণ্ঠস্বর বদলে যেতে পারে? বদল আসা যে একেবারে অসম্ভব নয়, সে কথা মানছেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শারদ্বত মুখোপাধ্যায়। তাঁর ব্যাখ্যা, ভোকাল কর্ডে ক্যানসার হলে এবং তার চিকিত্সা রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে হলে অনেকক্ষেত্রেই কণ্ঠস্বর বদলের সম্ভাবনা থাকে।
চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্তের মতে, কণ্ঠস্বরের বদল অসম্ভব নয়। অনেকের গলার স্বরে সমস্যা থাকে। তা ঠিক করে দেওয়া হয়। তার জন্য অস্ত্রোপচারও করা হয়। কণ্ঠস্বর বদলে গেলে তা ভয়েস স্যাম্পেল পরীক্ষায় ধরা না পড়ার সম্ভাবনা কম।
কী বলছেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য, “ভয়েস টেস্ট কিন্তু সাবস্টেন্টিভ এভিডেন্স নয়। এটাই শেষ কথা, তা কিন্তু নয়। ডিএনএ কিন্তু ভীষণভাবে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু যদি ভয়েস টেস্ট, একটাই এভিডেন্স হয়, তাতে কিন্তু সাজা হবে না। আমি বহু কেসে দেখেছি, যখনই তাঁকে ভয়েস টেস্টে নামানো হল, সে অন্যভাবে কথা বলবে। ধরুন আমি এখন যেভাবে আপনার সঙ্গে কথা বলছি, আমারই ভয়েস টেস্টের সময় গলার স্বর বিকৃত করে দিলাম, তখন কিন্তু ধরার উপায় থাকবে না। সেই সূক্ষ্ম বিজ্ঞান এখনও আবিষ্কার হয়নি। ” তবে তিনি এটাও বলেছেন, গলার স্বর বিকৃত করলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিল থেকেই যায়। যেভাবে সে কথা বলেছিল, সেটা প্রমাণ হয়।
কলকাতা: সজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের ‘কাকু’র কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছে ইডি। বৈজ্ঞানিকভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট? এই বিশিষ্ট চিকিৎসকদের একাধিক মত। কোনও ব্যক্তিকে শনাক্ত করার জন্য কিছু নথিভুক্ত প্রক্রিয়া রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে জেনেটিক স্যাম্পেলিং বা ডিএনএ স্যাম্পেলিং, রেটিনাল ম্যাপিং কিংবা আঙুলের ছাপ। সেরকমই একটি শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া হল ভয়েস স্যাম্পেল পরীক্ষা। চিকিত্সকের কথায়, ভয়েস স্যাম্পেল কোনও ব্যক্তিকে শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে প্রায় ১০০ শতাংশ বিশ্বাসযোগ্য নথি।
জোকা ইএসআই হাসপাতালে ‘কালীঘাটের কাকু’-র গলার স্বরের নমুনা নিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, প্রথমে তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতে কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার আবেদন করতে হয়। আদালত অনুমতি দিলে ‘সাউন্ড প্রুফ’ ও ‘ইকো প্রুফ’ ঘরে নমুনা নেওয়া হয়। নমুনা নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় ভয়েস রেকর্ডার যন্ত্র। SD কার্ডে সেই নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক বিভাগ। তারপরে ফরেনসিক দফতরে সেই স্বরের নমুনা নিয়ে আসা হয়। সেখানে ভয়েস স্পেক্ট্রমিটার সফটওয়ারের লাইসেন্সড ভার্সনে পরীক্ষা হয়। নমুনা পরীক্ষার পর সরাসরি তদন্তকারী এজেন্সিকে পজিটিভ বা নেগেটিভ রিপোর্ট দেয় ফরেনসিক বিভাগ।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এরপরও কী কারও কণ্ঠস্বর বদলে যেতে পারে? বদল আসা যে একেবারে অসম্ভব নয়, সে কথা মানছেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শারদ্বত মুখোপাধ্যায়। তাঁর ব্যাখ্যা, ভোকাল কর্ডে ক্যানসার হলে এবং তার চিকিত্সা রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে হলে অনেকক্ষেত্রেই কণ্ঠস্বর বদলের সম্ভাবনা থাকে।
চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্তের মতে, কণ্ঠস্বরের বদল অসম্ভব নয়। অনেকের গলার স্বরে সমস্যা থাকে। তা ঠিক করে দেওয়া হয়। তার জন্য অস্ত্রোপচারও করা হয়। কণ্ঠস্বর বদলে গেলে তা ভয়েস স্যাম্পেল পরীক্ষায় ধরা না পড়ার সম্ভাবনা কম।
কী বলছেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য, “ভয়েস টেস্ট কিন্তু সাবস্টেন্টিভ এভিডেন্স নয়। এটাই শেষ কথা, তা কিন্তু নয়। ডিএনএ কিন্তু ভীষণভাবে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু যদি ভয়েস টেস্ট, একটাই এভিডেন্স হয়, তাতে কিন্তু সাজা হবে না। আমি বহু কেসে দেখেছি, যখনই তাঁকে ভয়েস টেস্টে নামানো হল, সে অন্যভাবে কথা বলবে। ধরুন আমি এখন যেভাবে আপনার সঙ্গে কথা বলছি, আমারই ভয়েস টেস্টের সময় গলার স্বর বিকৃত করে দিলাম, তখন কিন্তু ধরার উপায় থাকবে না। সেই সূক্ষ্ম বিজ্ঞান এখনও আবিষ্কার হয়নি। ” তবে তিনি এটাও বলেছেন, গলার স্বর বিকৃত করলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিল থেকেই যায়। যেভাবে সে কথা বলেছিল, সেটা প্রমাণ হয়।