SSKM Nurses Agitation: ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিঘ্নিত’ করে হাসপাতাল চত্বরে আন্দোলনে নার্সরা, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 22, 2021 | 8:19 PM

SSKM: নার্সদের দাবি, সম পদমর্যাদায় সমান বেতন। এই দাবি নিয়ে প্রথম দফার আন্দোলন হয়েছিল ২৬ জুলাই থেকে ৬ অগস্ট।

Follow Us

কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালে নার্সদের আন্দোলনের আঁচ পৌঁছল কলকাতা হাইকোর্টের অন্দরে। সোমবার একটি সংগঠনের তরফে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালে নার্সদের বিক্ষোভ নিয়ে এই মামলা হয়। মামলাকারীর দাবি, হাসপাতাল চত্বরে এই বিক্ষোভ চলতে পারে না। এতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে।

সোমবার অষ্টম দিনে পড়ল এসএসকেএম হাসপাতালে নার্সদের আন্দোলন। একাধিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। এদিন রীতিমত পথে নেমে সোচ্চার হলেন তাঁরা। নার্সদের মিছিলের জেরে এদিন দক্ষিণ কলকাতা ও মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে যান চলাচলে প্রভাব পড়ে। সাময়িক যানজট তৈরি হয় আশুতোষ মুখার্জী রোড, হরিশ মুখার্জী রোড, ডিএল খান রোড, এজেসি বোস রোড, জওহরলাল নেহেরু রোড, পাক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট সংলগ্ন রাস্তায়। ধর্মতলাতেও কিছুটা প্রভাব পড়ে। যদিও নার্সেস ইউনিটির সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “রোগীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রেখেছি। আমরা এমার্জেন্সি দিয়ে এন্ট্রি বা এগজিট রাখিনি। আমার ধারণা খুব একটা অসুবিধা হয়নি। যদি হয়ে থাকে আমরা দুঃখিত।”

জুলাইয়ে প্রথম দফার আন্দোলন ফলপ্রসূ হয়নি। রাজ্য সরকার কথা রাখেনি বলে অভিযোগ এসএসকেএমের নার্সদের। তারই প্রতিবাদে ফের ১৫ নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু হয়। প্রতিবাদের অষ্টম দিনে দাবিদাওয়া বুঝে নিতে রাস্তায় নেমে এলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে প্রতিশ্রুতি মতো বেতন বৈষম্য নিরসন করতে হবে। পিজি হাসপাতালের নার্সদের অনৈতিক ভাবে বদলি করার অভিযোগেও সরব হয় নার্সেস ইউনিটির সদস্যরা।

নার্সদের দাবি, সম পদমর্যাদায় সমান বেতন। এই দাবি নিয়ে প্রথম দফার আন্দোলন হয়েছিল ২৬ জুলাই থেকে ৬ অগস্ট। আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেয় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু সময়সীমার তিন মাস কেটে গেলেও দাবি পূরণ হয়নি বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। উল্টে ১১ জন নার্সকে বদলি করে দেওয়া হয় বলে দাবি নার্সদের।

নার্সেস ইউনিটির সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, “মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, আমাদের পজেটিভ ভাবতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘কেন আপনারা নেগেটিভ ভাবছেন’। তা সেই অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি পূরণ করলে তো এত সমস্যাই হয় না।”

যদিও শনিবার আন্দোলন জনস্বার্থ বিরোধী বলে মামলা হয়েছে। এমনও অভিযোগ উঠেছে, ঘেরাওয়ের জেরে নার্সিং সুপার মনীষা ঘোষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। যদিও নার্সেস ইউনিটির সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “আমাদের কারণে কারও কোনও কোভিড হয়নি। নার্সিং সুপার যেখানে ঘেরাও হয়েছিলেন তাঁকে তাঁর ইমিডিয়েট অফিসাররা ঘিরে ছিলেন ৪৮ ঘণ্টা। কখনও তিনি একা ছিলেন না। আমাদের থেকে অন্তত ৬০-৭০ মিটার দূরে ছিলেন। যাঁরা ওনাকে ঘিরে ছিলেন অবিলম্বে তাঁদের টেস্ট করা হোক।” শুধু আন্দোলন নয়, রাজ্যের প্রথম সারির মেডিকেল কলেজ এসএসকেএমে কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন নার্স সংগঠন। সেবার ব্রতে দীক্ষা যাঁদের, তাঁদের এমন আগ্রাসী আন্দোলনে ভুগতে তো রোগীদেরই হবে!

আরও পড়ুন: Nagerbazar Road Accident: ঝুপ করে শব্দ, নাগেরবাজার উড়ালপুল থেকে ছিটকে নিচে পড়লেন মহিলা!

কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালে নার্সদের আন্দোলনের আঁচ পৌঁছল কলকাতা হাইকোর্টের অন্দরে। সোমবার একটি সংগঠনের তরফে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালে নার্সদের বিক্ষোভ নিয়ে এই মামলা হয়। মামলাকারীর দাবি, হাসপাতাল চত্বরে এই বিক্ষোভ চলতে পারে না। এতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে।

সোমবার অষ্টম দিনে পড়ল এসএসকেএম হাসপাতালে নার্সদের আন্দোলন। একাধিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। এদিন রীতিমত পথে নেমে সোচ্চার হলেন তাঁরা। নার্সদের মিছিলের জেরে এদিন দক্ষিণ কলকাতা ও মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে যান চলাচলে প্রভাব পড়ে। সাময়িক যানজট তৈরি হয় আশুতোষ মুখার্জী রোড, হরিশ মুখার্জী রোড, ডিএল খান রোড, এজেসি বোস রোড, জওহরলাল নেহেরু রোড, পাক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট সংলগ্ন রাস্তায়। ধর্মতলাতেও কিছুটা প্রভাব পড়ে। যদিও নার্সেস ইউনিটির সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “রোগীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রেখেছি। আমরা এমার্জেন্সি দিয়ে এন্ট্রি বা এগজিট রাখিনি। আমার ধারণা খুব একটা অসুবিধা হয়নি। যদি হয়ে থাকে আমরা দুঃখিত।”

জুলাইয়ে প্রথম দফার আন্দোলন ফলপ্রসূ হয়নি। রাজ্য সরকার কথা রাখেনি বলে অভিযোগ এসএসকেএমের নার্সদের। তারই প্রতিবাদে ফের ১৫ নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু হয়। প্রতিবাদের অষ্টম দিনে দাবিদাওয়া বুঝে নিতে রাস্তায় নেমে এলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে প্রতিশ্রুতি মতো বেতন বৈষম্য নিরসন করতে হবে। পিজি হাসপাতালের নার্সদের অনৈতিক ভাবে বদলি করার অভিযোগেও সরব হয় নার্সেস ইউনিটির সদস্যরা।

নার্সদের দাবি, সম পদমর্যাদায় সমান বেতন। এই দাবি নিয়ে প্রথম দফার আন্দোলন হয়েছিল ২৬ জুলাই থেকে ৬ অগস্ট। আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেয় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু সময়সীমার তিন মাস কেটে গেলেও দাবি পূরণ হয়নি বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। উল্টে ১১ জন নার্সকে বদলি করে দেওয়া হয় বলে দাবি নার্সদের।

নার্সেস ইউনিটির সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, “মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, আমাদের পজেটিভ ভাবতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘কেন আপনারা নেগেটিভ ভাবছেন’। তা সেই অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি পূরণ করলে তো এত সমস্যাই হয় না।”

যদিও শনিবার আন্দোলন জনস্বার্থ বিরোধী বলে মামলা হয়েছে। এমনও অভিযোগ উঠেছে, ঘেরাওয়ের জেরে নার্সিং সুপার মনীষা ঘোষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। যদিও নার্সেস ইউনিটির সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “আমাদের কারণে কারও কোনও কোভিড হয়নি। নার্সিং সুপার যেখানে ঘেরাও হয়েছিলেন তাঁকে তাঁর ইমিডিয়েট অফিসাররা ঘিরে ছিলেন ৪৮ ঘণ্টা। কখনও তিনি একা ছিলেন না। আমাদের থেকে অন্তত ৬০-৭০ মিটার দূরে ছিলেন। যাঁরা ওনাকে ঘিরে ছিলেন অবিলম্বে তাঁদের টেস্ট করা হোক।” শুধু আন্দোলন নয়, রাজ্যের প্রথম সারির মেডিকেল কলেজ এসএসকেএমে কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন নার্স সংগঠন। সেবার ব্রতে দীক্ষা যাঁদের, তাঁদের এমন আগ্রাসী আন্দোলনে ভুগতে তো রোগীদেরই হবে!

আরও পড়ুন: Nagerbazar Road Accident: ঝুপ করে শব্দ, নাগেরবাজার উড়ালপুল থেকে ছিটকে নিচে পড়লেন মহিলা!

Next Article