কলকাতা: গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বেশির ভাগ সময়টাই জেলের বদলে হাসপাতালে কেটেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকায় জেল হেফাজতে থাকাকালীনই বাইপাস সার্জারিও করা হয় তাঁর। তারপরও সুস্থ নন সুজয়কৃষ্ণ। মাঝে মধ্য়েই বুকে ব্যথা শুরু হয়ে যাচ্ছে তাঁর। কিছুদিন আগেই জোকা ইএসআই-তে যাওয়ার জন্য ইডি যখন এসএসকেএম হাসপাতালে উপস্থিত হয়, তার আগের রাতেও বুকে ব্যথা হয় তাঁর। এবার তাঁর হৃদযন্ত্র পরীক্ষার জন্য করা হচ্ছে আরও একটা নতুন টেস্ট।
‘কালীঘাটের কাকু’র হৃদযন্ত্র কেমন কাজ করছে, তা জানতে আরও একটি পরীক্ষার পরিকল্পনা করেছেন এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা। সিসিইউ থেকে বের করার পর ভদ্রের শারীরিক অসুস্থতা খতিয়ে দেখতে ‘নিউক্লিয়ার স্ট্রেস টেস্ট’ করা হবে বলে এসএসকেএম সূত্রে খবর।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই পরীক্ষাকে বলা হয়, ‘স্ট্রেস মায়োকার্ডিয়াল পারফিউসন স্ক্যান’। হার্টের মাংসপেশীতে রক্তের প্রবাহ কেমন? হার্ট মাসল কত ভাল পাম্পিংয়ের কাজ করছে, সেটা এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে। বাইপাস সার্জারির পরও সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফিতে ব্লকেজ দেখা দিলে এই পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছেন কার্ডিওলজিস্ট মৃণালকান্তি দাস।
দু’ভাবে এই পরীক্ষা করা হয়। এক, রোগীকে ট্রেড মিলের ওপরে হাঁটিয়ে বাইরে থেকে হৃদযন্ত্রের ওপরে চাপ তৈরি করা। দুই, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে রোগগ্রস্ত হৃদযন্ত্রের ওপরে চাপ তৈরি করে মাংসপেশীর সক্ষমতা যাচাই করা হয়। পরীক্ষায় হৃদযন্ত্রের মাংসপেশী সক্ষম প্রমাণিত হলে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বা পুনরায় বাইপাস সার্জারি করা হতে পারে। আর মাংসপেশী কাজ করছে না দেখা দিলে রোগীকে শুধু ওষুধ দেওয়া হয়।