কলকাতা : বহুদিন ধরেই পাহাড়ের জিটিএ নির্বাচন ঘিরে জলঘোলা চলছিল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড় সফরে গিয়ে জিটিএ ভোটের বাদ্যি বাজিয়ে এসেছিলেন। বলে এসেছিলেন, দুই-তিন মাসের মধ্যেই জিটিএ নির্বাচন হবে। এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের বৈঠকে তাতে সিলমোহর পড়ল। জুন মাসেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হবে। সেই সঙ্গে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনও হবে জুন মাসেই। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ের এই জিটিএ নির্বাচন আটকে ছিল। ফলে বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্পের সুবিধা থেকে পাহাড়ের মানুষজন বঞ্চিত হচ্ছে বলে বার বার অভিযোগ উঠছিল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মার্চ মাসের পাহাড় সফরের সময় থেকেই রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা অনুমান করছিলেন, দ্রুত জিটিএ নির্বাচন হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়ে পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, তাদের কথা শুনেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সবাই চাইছে পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হোক। অথচ, পাহাড়ের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হামরো পার্টি জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল। হামরো পার্টির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বাঙালি কিংবা বাংলার সঙ্গে ভেদাভেদ নেই গোর্খাদের। কিন্তু পাহাড়ে সুশাসনের লক্ষেই আলাদা রাজ্য দরকার। অথচ, সেই সিদ্ধান্ত এখনও অধরাই। এই মুহুর্তে জিটিএ নির্বাচন হামরো পার্টি চায় না। তবে, সরকার যদি জিটিএ নির্বাচন করে, সেক্ষেত্রে জিটিএ অন্যদের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না – এই বার্তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিল হামরো পার্টি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাহাড় সফরে গিয়ে বলে এসেছিলেন, “আমি চাই জিটিএ ভোটটাও মে জুন মাসের মধ্যে হয়ে যাক। পাহাড়ে ইতিমধ্যেই শান্তিপূর্ণভাবে পুরভোট হয়েছে। জিটিএ ভোটটা হোক চাই।” তারপরই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আলোচনা করা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। সেই আলোচনাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জুন মাসে পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন করা হবে। সেই সঙ্গে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটও হবে জুনেই।