Suvendu Adhikari: ‘ভাঙন’ রুখতে কী পদক্ষেপ করছেন? প্রশ্ন শুনে সাংবাদিকের উপর খাপ্পা শুভেন্দু

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Dec 28, 2021 | 10:25 AM

Bengal BJP: যেভাবে সভাপতি নিয়োগ হয়েছে, যাঁদেরকে করা হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সব জেলায় বিজেপি বিধায়ক নেই, তাই সব ক্ষেত্রেই এমনটা হবে না।

Suvendu Adhikari: ‘ভাঙন’ রুখতে কী পদক্ষেপ করছেন? প্রশ্ন শুনে সাংবাদিকের উপর খাপ্পা শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী। (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: সম্প্রতি  বিজেপির অন্দরে বাড়ছে ‘বিদ্রোহী’ সুর। একের পর এক হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত পান থেকে চুন খসলেই এখন বিজেপি নেতারা দলীয় গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। যা নিয়ে রীতিমতো পদ্ম শিবিরের অন্দরেও বিস্তর জলঘোলা চলছে। আর এ নিয়ে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

সংবাদমাধ্যমের তরফে অধিকারী পুত্রকে প্রশ্ন করা হয়, বিজেপির অন্দরের এই ‘ভাঙন’ রোধে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে? কেনই বা অসন্তুষ্ট দলের কর্মীরা। আর এতেই কার্যত মেজাজ হারান শুভেন্দু। সরাসরি এক সংবাদমাধ্যমের কর্মীকে বললেন, “এটা কি আপনার কাজ? আপনাকে বলব কেন! দলের বিষয় দল বুঝবে!”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি, বিজেপির (BJP) অন্দরে ‘বিদ্রোহী’ সুর স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মতুয়া-ক্ষোভে দলীয় হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন পাঁচ বিধায়ক। ঘটনাচক্রে তাঁরা প্রত্যেকেই মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। শনিবার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি এবং ইনচার্জদের নাম ঘোষণা পরে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার কয়েকজন বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। দলের রাজ্য ও জেলার বিভিন্ন গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন বাঁকুড়ার ৫ বিধায়কও।

বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর জেলার সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের পরিবর্তন করা হয়। বাঁকুড়ায় সুনীল মণ্ডল ও বিষ্ণুপুরে বীলেশ্বর সিংহকে। সেই নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিল। বিজেপি বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রীর বক্তব্য, পরিবর্তন করে যাঁদের আনা হচ্ছে. তাতে সাংগঠনিক কাঠামো আরও দুর্বল হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে নিঃসন্দেহে বিজেপির মুখ পুড়ছে।

যেভাবে সভাপতি নিয়োগ হয়েছে, যাঁদেরকে করা হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সব জেলায় বিজেপি বিধায়ক নেই, তাই সব ক্ষেত্রেই এমনটা হবে না। তবে যে সব জেলাতে বিজেপি বিধায়করা রয়েছেন, তাঁরা এই ভাবেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়ে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন।

এই অসন্তোষ বিজেপিকে ভাবাচ্ছে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আজ, বিজেপির বৈঠক রয়েছে। রাজ্য কমিটির সভাপতি, সদস্যদের নিয়ে বৈঠক হবে। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও যোগ দেবেন। সেখানে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি কিছু বার্তা দিতে পারেন, কিন্তু সেই টোটকা কতটা কাজে লাগবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল থাকতে পারেন বিজেপি নেতৃত্ব। অর্থাৎ যাঁরা সভাপতি হয়েছেন, তাঁরাই আপাতত থাকবেন। নতুন করে আর সভাপতি পরিবর্তিত হবেন না। সেক্ষেত্রে বিক্ষুব্ধ নেত ও কর্মীদের উদ্দেশে কোনও বার্তা দিতে পারেন তাঁরা। সমঝোতার পথে নিয়ে আসতে পারেন।

তবে, বিজেপির এই অন্তর্ঘাত  নিয়ে কী বলছেন উচ্চ নেতৃত্বরা? বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, “দলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ মান-অভিমান থাকতেই পারে। সে কথা দলের মধ্যেই হবে। সঠিক স্থানে সঠিক ব্যক্তিই দায়িত্ব পাবেন। প্রয়োজন বুঝেই যথাযথ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘প্রহসনের’ লোকায়ুক্ত বৈঠক ‘বয়কট’ শুভেন্দুর, উপস্থিত থাকবেন মমতা

 

 

Next Article