কলকাতা: লাগাতার দুর্ঘটনায় বাড়ছিল উদ্বেগ। এরইমধ্যে বাসের রেষারেষি আটকাতে এবং যাত্রী তোলার সুবিধার্থে এসওপি বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওরের খসড়া তৈরি করে ফেলল রাজ্যের পরিবহণ দফতর। কিন্তু, সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মানতে নারাজ বেসরকারি বাস সংগঠনগুলি। তাতেই চরম উঠেছে দ্বন্দ্ব। বাড়ছে চাপানউতোর।
এসওপি-তে দুর্ঘটনা রুখতে বিভিন্ন ধরনের নিয়মের কথা বলা রয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীদের সুরক্ষা এবং বাস চালক, কন্ডাক্টররা কী করবেন, কী করবেন না সেই কথাও বলা রয়েছে। বেসরকারি বাস সংগঠনগুলির অভিযোগ, এই খসড়াতে নেই চালক বা খালাসিদের সুরক্ষার কথা। কিন্তু রয়েছে একাধিক ‘অপ্রয়োজনীয়’ নিয়ম। যা মানতে চাইছেন না রাজ্যের বেসরকারি বাস সংগঠনগুলি। স্বাভাবিকভাবেই মতানৈক্য চরমে। কারণ এসওপি তৈরির সময় যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা প্রয়োজন ছিল, তা বেসরকারি বাস সংগঠনগুলির সঙ্গে করা হয়নি বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, খসড়াতে কমিশন প্রথা নিয়েও উল্লেখ করা হয়েছে। যেটার ভার সংগঠনগুলি কোনওভাবেই মেনে নেবে না বলে ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন সংগঠনগুলির নেতৃত্ব। অন্যদিকে রাজ্যের বক্তব্য, বারবার যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে তাতে রাশ টানতে গেলে একাধিক কঠোর নিয়মবিধিতে বাঁধতেই হবে গণপরিবহণকে। স্পষ্ট নির্দেশ এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তরফেও। বেসরকারি রুটের বেপরোয়া বাসগুলিকে আটকাতেই হবে। সাফ জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রীকে।
কী বলছে এসওপি-র খসড়া?