কলকাতা: গার্ডেনরিচে বাড়ি ভেঙে মৃত্যু মিছিলের উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরসভার চরম সিদ্ধান্ত। কলকাতা পুরনিগমের বিল্ডিং আইনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের ফৌজদারি আইন। অর্থাৎ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ এবং ৪২০ ধারাকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সূত্রের খবর, কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই বিষয়ে যাবতীয় দায়িত্ব দিলেন ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ্য কিশোর রাউতকে। বিশ্বাসভঙ্গ বা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে দেওয়া হয় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ নম্বর ধারা। ৪২০ নম্বর ধারা দেওয়া হয় প্রতারণার অভিযোগে। এই দুটি ধারা যুক্ত করা হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। কারণ, ফৌজদারি আইন যুক্ত হলে এই বেআইনি নির্মাণ তৈরিতে রাশ টানা যাবে বলে মনে করছেন মেয়র।
আগে কলকাতা পুরনিগমের বিল্ডিং আইনের ৪০১ ও ৪০৮ ধারায় নোটিশ লাগিয়ে ভাঙা হতো কোনও বেআইনি নির্মাণ। এবার আইনের হাত আরও শক্ত করতে দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ এবং ৪২০ ধারা। খবর সামনে আসতেই তা নিয়ে জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক মহলের অন্দরে। এদিকে গার্ডেনরিচের বিপর্যয়ের পর এই প্রথম আবার বিল্ডিং বিভাগের সব আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে উচ্চপর্যয়ের বৈঠকে বসতে দেখা গেল মেয়রকে। এদিন কলকাতা পুরনিগমের অধিবেশন কক্ষে বসে এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।
প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর ইতিমধ্যেই বরো ১৫ এর প্রায় সব ইঞ্জিনয়রকে ধরানো হয়েছে বদলির নোটিশ। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন এক প্রোমোটার, এক জমির মালিক। সূত্রের খবর, জমির তিনজন মালিকের মধ্যে একজন গ্রেফতার হলেও আরও দু’জনের খোঁজে চালাচ্ছে লালবাজার। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১০। মৃতদের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট উল্লেখ মাথায় আঘাত, ট্রমা সহ একাধিক কারণে মৃত্যুর কথা।