কলকাতা: চারদিনে পড়েছে সল্টলেকে ২০১৪ সালের টেটের চাকরিপ্রার্থীদের (Primary TET 2014 Candidate) অনশন। এদিকে এরইমধ্যে হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশকে সামনে রেখে বড় ঘোষণা করে দিয়েছে পুলিশ। অবিলম্বে এই স্থান পরিত্যাগ করতে হবে ২০১৪ টেট পরীক্ষার্থীদের, নাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ গোটা করুণাময়ী চত্বর ছেয়ে যায় পুলিশে (Police)। আন্দোলনকারীদের উঠতে মাইকিংও করা হয়। তবে পুলিশের রাস্তা খালির নির্দেশের মুখেও রাস্তা কামড়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সাফ দাবি, “প্রাণ থাকতে উঠব না।” এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমাদের লড়াইটা সম্মানের লড়াই। মানবিকতার লড়াই। আমরা ৮ বছর বঞ্চিত। আমাদের যতক্ষণ না নিয়োগ হচ্ছে ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে। আর একটা স্বাধীনতার লড়াই লড়ার জন্য ভারতের পতাকা হাতে নিয়েছি।” তবে এদিন আবার ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের মতপার্থক্য নিয়েও জোর চর্চা শুরু হয় রাজ্যজুড়ে।
এদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি আন্দোলনকারীদের ভালবাসি।” আরও বলেন, “আমি তো চাই কারও চাকরি যেন না যায়।” এদিকে ২০১৭ এবং ২০১৪-র টেট চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যেকার মতপার্থক্য সেই তিমিরেই থাকে। এরমধ্যে সন্ধ্যায় করুণাময়ীতে পুলিশি গতিবিধি বাড়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। এদিকে যে চত্বরে আন্দোলন চলছে সেখানে আগে থেকেই আদালতের নির্দেশে জারি ছিল ১৪৪ ধারা। যা এখনও বলবৎ রয়েছে। ১৪৪ ধারাকে ঢাল করেই বর্তমানে এলাকা খালি করতে চাইছে পুলিশ। যদিও পুলিশি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে আর এক চাকরিপ্রার্থীর দাবি, “আমরা আমরণ অনশনে আছি, থাকব। কী করবে পুলিশ? মেরে ফেলবে ফেলুক। দেশের লোক পৃথিবীর লোক দেখছে। একদিকে পর্ষদ আমাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে। যে দুর্নীতি হয়েছে তার বিচার হচ্ছে না। উপরন্তু যড়যন্ত্র করে আমাদের এখান থেকে তোলার চেষ্টা করছে। জনতার আদালতে আমাদের বিচার হবে। আমরা মৃত্যুবরণ করতে প্রস্তুত।”
কার্যত রাস্তাতেই শুয়ে পড়ে আর এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমাদের সংগ্রাম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম। এই লড়াইয়ে যখন একবার নেমে গিয়েছে তখন পরবর্তী জেনারেশনকে দুর্নীতি মুক্ত সমাজ দিয়েই যাব। আমাদের দেবে যতক্ষণ প্রাণ আছে আমরা উঠব না।”