Subiresh Bhattacharya: ‘ তাহলে সাড়ে ৩ বছর পর আসুন’, তদন্তে গতি নিয়ে সুবীরেশের অভিযোগে মন্তব্য বিচারপতির
Subiresh Bhattacharya: সুবীরেশের আইনজীবীর সওয়ালের প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, "সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ ৭ বছর। তদন্তে দেরি হচ্ছে, এই অভিযোগ থাকলে সাড়ে তিন বছর পরে আসুন।"

কলকাতা: আদালতে ‘অস্বস্তিতে’ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচর্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। জামিনের আবেদনে কোনও নির্দেশই দিল না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে সুবীরেশের জামিনের জন্য আর্জি করেন তাঁর আইনজীবী। পাল্টা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তদন্তকারীদের কাছে জানতে চান, তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে ? কতদিন লাগতে পারে? এ দিন বিচারপতি আরও জানতে চেয়েছেন, এই তদন্তের জন্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন আছে কি? দুর্নীতিতে কি ভূমিকা রয়েছে সুবীরেশ ভট্টাচার্যর? তাঁর বিরুদ্ধে আর কোন মামলা বিচারাধীন রয়েছে কি? এ সব প্রশ্নের উত্তর রিপোর্ট আকারে সিবিআইকে পেশ করার নির্দেশ দেয় আদালত। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআই-কে।
এ দিন আদালতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেল ৮৮ দিন জেলে রয়েছেন। ৫ বার সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিয়েছেন। এফআইআর-এ তাঁর নাম ছিল না, কিন্তু তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেছেন। চার্জশিটও দাখিল হয়ে গিয়েছে। সুবীরেশের আইনজীবীর সওয়ালের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, “সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ ৭ বছর। তদন্তে দেরি হচ্ছে, এই অভিযোগ থাকলে সাড়ে তিন বছর পরে আসুন।”
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশকে নিজাম প্যালেসে তলব করে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এসএসসি-র চেয়ারম্যান থাকাকালীন নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীর মার্কশিটের নম্বর বদল হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রমাণও রয়েছে। সিবিআই-কে তদন্তে তিনি সহযোগিতা না করার কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।
