কলকাতা: ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতারির তৃতীয় দিনে দিল্লি থেকে কলকাতায় ‘উড়ে’ এলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রধান সঞ্জয় মিশ্র। তাতে কি চাপ বাড়তে পারে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’? সূত্রের খবর, সিজিও-তে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবেন ইডি প্রধান সঞ্জয় মিশ্র। তদন্তকারীদের সঙ্গে ম্যারাথন আলোচনা চলবে। পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা রয়েছেন। এই মুহূর্তে ইডি-র হাতে রয়েছে একাধিক মামলা। চিটফান্ড থেকে শুরু করে নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা ও গরু পাচার-সহ বিভিন্ন মামলার অগ্রগতি নিয়ে তদন্তকারীরা অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। আরও জানা যাচ্ছে, আগামী দিনে তদন্তের রূপরেখাও বৈঠকে ঠিক হবে। এই রাজ্যের হাইপ্রোফাইল দুর্নীতি বিষয়ে দিল্লি এবং কলকাতার সমন্বয় নিয়েও কথা হতে পারে।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মঙ্গলবার রাতেই গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র বলে মনে করছে ইডি। তাই ঠিক এই সময়ে সঞ্জয় মিশ্রের কলকাতায় আগমনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও ইডি আধিকারিকদের তরফে বলা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ একটি কাকতালীয় ব্যাপার। দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও সংযোগ নেই।
ইডি-র দাবি, কালীঘাটের কাকু হচ্ছেন, এমন এক জন ব্যক্তি, যিনি বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। ইডি-র তরফে আদালতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সাংবিধানিক পদে রয়েছেন, এমন কয়েকজন ব্যক্তির ‘ফ্রন্টম্যান’ হিসাবে কাজ করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’। সে দিক থেকে এখন পর্যন্ত দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের। ওই ব্যক্তিদের আড়াল করতে ‘কাকু’ তথ্য প্রমাণ নষ্ট করেছেন বলেও দাবি তাঁদের। সেখানে ইডির শীর্ষ কর্তার কলকাতায় উপস্থিতি ‘কালীঘাটের কাকু’র বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রে কতটা শান দেবে, সেটাই দেখার।