কলকাতা: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে এবার ধোঁয়াশায় ইডি। কাকু কতখানি অসুস্থ সেটাই স্পষ্ট নয় এসএসকেএমের মেডিক্যাল রিপোর্ট থেকে। ইডি সূত্রে খবর, কাকুর সিএবিজি গ্রাফ্ট ভেসেল (CABG GRAFT VESSLE) রিপোর্টও নেই। হার্টের চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট এটি। সেই রিপোর্ট চেয়ে এবার এসএসকেএমকে চিঠি ইডির। অন্যদিকে কাকুর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে ফের বৈঠকে এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড। মঙ্গলবার অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে ডিরেক্টরের ঘরে বৈঠক হয়। ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, এমএসভিপি পীযূষ রায় ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল বোর্ডের তিন সদস্য কার্ডিওলজিস্ট দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়, অসিত দাস, গৌতম দত্ত। আইসিসিইউ থেকে স্থানান্তরের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে।
গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জোকা ইএসআই হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল কালীঘাটের কাকুর। তাঁর কণ্ঠের নমুনা নিতে চায় ইডি। একটি অডিয়ো ক্লিপ হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। তার নিরিখেই কণ্ঠের নমুনা পরীক্ষা। কিন্তু ২ মাস বেশি সময় হতে চলল কাকুর গলা আর ইডি শুনতে পাচ্ছে না।
আদালতের নির্দেশে শুক্রবার জোকায় যাওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে কার্ডিওলজির আইসিসিইউয়ে স্থানান্তর করা হয়। সেই স্থানান্তরের পরে কাকুর রক্তপরীক্ষার পাশাপাশি সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা হয়। আচমকা আইসিসিইউ স্থানান্তর ঘিরে নতুন বিতর্কে জড়ায় এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।
এই পরিস্থিতিতে কাকুর অসুস্থতা সংক্রান্ত যাবতীয় মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট ইডিকে পাঠিয়ে দেয় এসএসকেএম। সেই রিপোর্টের মধ্যে বাইপাস সার্জারির পর কাকুর অসুস্থতা আদৌ কতখানি তা বুঝতে যে রিপোর্টের প্রয়োজন তা ছিল না। তাই সিএবিজি গ্রাফ্ট ভেসেল নামে ওই রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল ইডি। যা এসএসকেএমের ভূমিকা নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি বলেই মনে করা হচ্ছে।