কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু হওয়ার পর নিয়োগে গতি এলেও এখনও অনেক নিয়োগ আটকে আছে জটে। এমনই এক জটে আটকে ছিল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ। একটি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের অস্বস্তি বেড়েছিল শীর্ষ আদালতে। তবে আপাতত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না। প্রায় ১৪৩৩৯ শূন্যপদে নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। পরে ৩৫ জন চাকরি প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হওয়ায়, আইনি জট তৈরি হয়। কাউন্সেলিং নিয়ে বাড়ে অনিশ্চয়তা। অবশেষে সেই জট কাটল।
২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই নিয়োগ হচ্ছে। উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মতো প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে ৩৫ জন প্রার্থী দাবি করেন, প্যানেল নিয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, প্রথম প্যানেলে নাম থাকলেও নতুন প্যানেলে তাঁদের নাম নেই। এই অভিযোগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
মঙ্গলবার বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আসাউদ্দিন আমানুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। সেখানেই স্বস্তি ফিরেছে এসএসসি-র। ফলে ওই ১৪ হাজার প্রার্থীর চাকরি নিয়ে জট কাটল অনেকটাই।
উল্লেখ্য, শুধু উচ্চ প্রাথমিক নয়, অনেক ক্ষেত্রেই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে এসএসসি। রাজ্য জুড়ে হাজার হাজার শিক্ষক পদ খালি পড়ে রয়েছে। সেগুলিতে যাতে দ্রুত নিয়োগ হয়, সেই দাবিতে আন্দোলন চলছে শহরে। সোমবারই এই নিয়ে একদল চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।