Sujit Bose-ED raid: ‘৪০ বছরের রাজনীতিতে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি’, সেই সুজিতের বাড়িতে কেন হাজির ED?

Sujit Bose-ED raid: পুরসভায় বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ সামনে আসে। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে একে একে হেভিওয়েটদের নাম পেয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এই মামলায় একাধিক পুরসভায় চেয়ারম্যানদের তলব করা হয়েছে। চলেছে তল্লাশিও।

Sujit Bose-ED raid: ৪০ বছরের রাজনীতিতে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি, সেই সুজিতের বাড়িতে কেন হাজির ED?
সুজিত বসু (ফাইল ছবি)Image Credit source: Facebook

Jan 12, 2024 | 9:25 AM

কলকাতা: সুজিত বসু নিছকই একজন মন্ত্রী নন, শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যে একজন। একসময় দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপ পুরপ্রধান ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সামলাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী পদ। রাজনৈতিক কেরিয়ার আরও দীর্ঘ। তাঁর তত্ত্বাবধানেই লেক টাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো শহরের অন্যতম বড় পুজো হিসেবে চিহ্নিত হয়। সেই হেভিওয়েট নেতা বাড়িতে কেন হাজির হল ইডি? কয়েক মাস পিছিয়ে গেলেই মনে পড়বে, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও রকম যোগ থাকার কথা দ্ব্যর্থহীনভাবে অস্বীকার করেছিলেন সুজিত বসু। তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।

গত বছরের অগস্ট মাসে জানা যায়, সিবিআই নোটিস পাঠিয়েছে সুজিত বসুকে। ৩১ অগস্ট তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা জানা গিয়েছিল সিবিআই সূত্রে। কিন্তু সেই ৩১ অগস্ট সিবিআই দফতরে না গিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন সুজিত। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি কোনও নোটিস পাননি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘নোটিস পেলে তবে তো যাব?’

পুর নিয়োগ মামলায় নাম জড়ানোর কথা সেই সময়েই প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু সে কথা অস্বীকার করে সুজিত বলেছিলেন, “আমার বিরুদ্ধে কেউ বা কারা ষড়যন্ত্র করছে, কালি ছেটানোর চেষ্টা করছে। কারা এই কাজ করছে, তা খুঁজে বের করতে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত হোক।” তিনি আরও বলেছিলেন, “৪০ বছরের রাজনীতিতে কেউ কোনও দিন প্রশ্ন তুলতে পারেনি।”

উল্লেখ্য, সুজিত বসু অস্বীকার করলেও সেই চিঠি প্রকাশ্যে এসেছিল। সিবিআই-এর স্ট্যাম্প দেওয়া সেই চিঠিতে ছিল, ৫১ বি ক্যানাল স্ট্রিট, শ্রীভূমি-র ঠিকানা। সেই চিঠি কীভাবে উধাও হয়ে গেল, তা বোঝা যায়নি।

আদতে তিনি ছিলেন পুরসভার উপ পুর প্রধান। সেই কারণেই পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়িয়েছে বলে সূত্রের খবর। তিনি ওই পদে থাকাকালীন পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল, এমন তথ্যই এসেছে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের হাতে।