কলকাতা : বিজেপির নবান্ন অভিযানের পরের দিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মাথায় গুলি করতাম বলে যে মন্তব্য করেন, তার বিরুদ্ধেই এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ব্যাঙ্কশাল আদালতে মামলা করেছেন সুকান্ত। গেরুয়া শিবিরের দাবি, অভিষেকের ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধে এফআইআর করার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপি নেতারা, কিন্তু পুলিশ এফআইআর নিতে চায়নি। এরপরই মামলা করা হয়েছে বলে দাবি।
বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। বেশ কয়েকজন নেতাকেও গ্রেফতারও করা হয়েছিল সে দিন। এর ঠিক পরের দিন অভিষেক পুলিশের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আমি স্যালুট করি, যে আপনারা কিছু করেননি। আমি যদি আপনার জায়গায় থাকতাম, আমার সামনে যদি পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হত, তাহলে আমি মাথার ওপরে শুট করতাম।’
এই ব্যক্তির পরিপ্রেক্ষিতে একাধিকবার সরব হয়েছে বিরোধী তথা বিজেপিরা। এ দিন আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন খোদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, পুলিশকে এফআইআর নিতে হবে। এরপর পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নিলে, তাঁরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে সূত্রের খবর। একজন জনপ্রতিনিধি এই ধরনের কথা জনসমক্ষে বলতে পারে না বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
সুকান্ত মজুমদারের পক্ষে এ দিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্লোল মজুমদার। তিনি উল্লেখ করেন, রাজ্যের দুর্নীতির বিরোধিতা করতে নবান্ন অভিযানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অভিযানে পুলিশি পরিস্থিতি সামলানোর নাম করে যা ইচ্ছে অত্যাচার করতে থাকে। লাঠি ,টিয়ার গ্যাস,বোমা সহ নানা রকমের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়, মিথ্যে মামলাও দেওয়া হয়েছে। এখনও অনেকে অসুস্থ বলেও জানানো হয় আদালতে।
আইনজীবী উল্লেখ করেন, ওই ঘটনার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘গুলি করে মারতাম’। এরপরও পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওনা হয়নি বলে অভিযোগ। আদালতে জানানো হয়, থানায় অভিযোগ নেওয়া হয় নি। মানুষ কোথায় যাবে? এফআইআর করার আবেদন করে মামলা হয়েছে। সুকান্তর আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত। রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।