Sukanta Majumdar: দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি সুকান্তর, বললেন ‘সব মন্ত্রী জেলে গেলে রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রয়োজন হবে’

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 10, 2022 | 2:21 PM

Sukanta Majumdar: এক লম্বা চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন সুকান্ত। পার্থ থেকে অনুব্রত, সব বিষয়ই উল্লেখ করেছেন সেই চিঠিতে।

Sukanta Majumdar: দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি সুকান্তর, বললেন সব মন্ত্রী জেলে গেলে রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রয়োজন হবে
রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন সুকান্ত

Follow Us

কলকাতা : পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র ‘বলির পাঁঠা’। আদতে দলের প্রত্যেকে জড়িত। একে একে সবার নামই সামনে আসবে। সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার। এবার তিনি দাবি করলেন, একে একে সব মন্ত্রীরা যদি জেলে যান, তাহলে রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রয়োজন পড়তেই পারে।

মঙ্গলবারই সুকান্ত মজুমদার রাষ্ট্রপতিকে একটি চিঠি দিয়েছেন। কোন কোন বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে?

১. রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে বিপুল নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

২. গরু পাচার মামলায় সিবিআই তলব করা সত্ত্বেও হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল।

৩. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী, শওকত মোল্লার মতো তৃণমূলের একাধিক নেতা রয়েছেন সিবিআই বা ইডি-র রাডারে।

৪. ১৯ জন শীর্ষস্থানীয় তৃণমূল নেতার সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

৫. শিক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য পদে বসতে চাইছেন।

এ সব বিষয় উল্লেখ করে সুকান্ত মজুমদার আর্জি জানিয়েছেন যাতে রাষ্ট্রপতি এ রাজ্যের পরিস্থিতির ওপর নজর দেন।

তবে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাচ্ছেন কি? এই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে কি হবে না, সেটা প্রশাসনিক ব্যাপার। কিন্তু, এ ভাবে একের পর এক মন্ত্রী জেলে গেলে রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রয়োজন তো পড়বেই।’

একইসঙ্গে ১৯ জন নেতার সম্পত্তি সংক্রান্ত যে মামলায় ইডি-কে পার্টি করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট, সেই প্রসঙ্গেও প্রতিক্রিয়া দেন সুকান্ত। বিজেপি সাংসদের দাবি, এরপর রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে জেলে। ওই মামলায় নাম রয়েছে ফিরহাদ হাকিম, অর্জুন সিং সহ শাসক দলের মোট ১৯ জন নেতার। তাঁদের সম্পত্তি কী ভাবে ক্রমশ বাড়ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুকান্তর দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই মামলায় ইডি-র তদন্ত সময়ের অপেক্ষা। সে ক্ষেত্রে যদি ওই সব নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁরা জেলে যেতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন সুকান্ত মজুমদার।

Next Article