কলকাতা: তৃণমূল বারবার দাবি করেছে ভোট-হিংসায় যত মামুষের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে বেশির ভাগই তৃণমূল কর্মী। সে কথা বিরোধী দল না মানলেও, তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর কথা যে তাঁরা অস্বীকার করেন না, সেটা স্পষ্ট করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি জানিয়েছেন, ভোট-সন্ত্রাসে মৃতদের তালিকায় তৃণমূল-বিজেপি ফারাক করছেন না তাঁরা। প্রত্যেকের নামই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত। শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। শনিবার কলকাতায় ফিরে তিনি বলেন, তাঁরা চান দলমত নির্বিশেষে রাজ্যে যেন একজনেরও মৃত্যু না হয়।
সুকান্ত জানিয়েছেন, রাজ্যে ভোট আবহে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই তালিকা তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে এসেছেন। বিজেপি, তৃণমূল বা সিপিএমকে আলাদা করা হয়নি সেই তালিকায়। তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে কত হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার হিসেব প্রতিদিন পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। সেই মেল খুললেই দেখা যাবে, সেখানে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর কথাও আছে। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আপনার সৎ সাহস থাকলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন, সেই লিস্ট দিয়ে দেব।”
‘পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সঙ্গে হিংসা বা মৃত্যুর একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।
বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, অগস্ট মাসেই কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। কথা দিয়েছেন তিনি। বাংলায় যাতে হিংসা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে ব্যাপারে অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, লাগাম ছাড়া হিংসায় যেটুকু নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তার সবটাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলায় যাতে হিংসার ঘটনা না ঘটে, সে দিকে নজর রাখবেন তিনি।