Justice Dipankar Dutta: ‘বার অ্যাসোসিয়েশনগুলি যেন দলগত রাজনীতির বাইরে থাকে’, মন্ত্রী মলয়কে অনুরোধ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

Bar Association: মন্ত্রী মলয়বাবুর উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, যাতে বার অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে দলগত রাজনীতির বাইরে রাখা যায়।

Justice Dipankar Dutta: 'বার অ্যাসোসিয়েশনগুলি যেন দলগত রাজনীতির বাইরে থাকে', মন্ত্রী মলয়কে অনুরোধ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 31, 2023 | 7:38 PM

কলকাতা: শহরে এসেছেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত (Justice Dipankar Dutta)। শুক্রবার বিকেলে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন (High Court Bar Association)। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাগনানম, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব সহ বাকি বিচারপতিরাও। ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও। এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে কলকাতার হাইকোর্টের সঙ্গে নিজের নিবিড় যোগের কথা শোনালেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। বললেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিবিড়। মায়ের সঙ্গে বাচ্চার নাড়ির টান কি ছেদ করা যায়?’ পাশাপাশি, হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন নিয়েও কথা বললেন তিনি। মন্ত্রী মলয়বাবুর উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, যাতে বার অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে দলগত রাজনীতির বাইরে রাখা যায়।

শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখন সংবর্ধনা মঞ্চেই বসে ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। হাসিমুখেই বিচারপতি দত্ত মন্ত্রীর দিকে ফিরে অনুরোধ করেন, ‘দাদা, দেখুন না যাতে বার অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে দলগত রাজনীতির বাইরে রাখা যায়।’ বিচারপতি এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ঘরের মধ্যে করতালির রব। বিচারপতি দত্ত আরও বললেন, ‘সারা রাজ্য পড়ে রয়েছে ক্ষমতার রাজনীতির জন্য। যদি একান্তই বারে রাজনীতি করতে হয়, সেটা যেন আদর্শগত রাজনীতির মধ্যে সীমাবন্ধ থাকে।’ হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে আপ্লুত বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। বললেন, ‘এই অনুষ্ঠান আমাকে আমার শিকড়ের সঙ্গে আর একবার যোগাযোগের রাস্তা করে দিল। বহু চেনা-পরিচিত মানুষের সঙ্গে কথোপকথনের সুযোগ করে দিয়েছে।’

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বক্তব্যে উঠে আসে কলেজিয়াম ব্যবস্থার কথাও। বললেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানের অনেক বিচারপতি যাঁরা আমার থেকে অনেক জ্ঞানী-গুণী, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমি এটিকে সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের চরম ক্ষতি বলে মনে করি।’