AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Supti Pandey On Mamata: ‘আমি জানতামই না মমতা পলিটিক্স করে…’

Supti Pandey: সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পর সুপ্তি পাণ্ডে হলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রায় সমবয়সী। এ দিন সেই সব তথ্যই তুলে ধরেন সংবাদ মাধ্যমে। পুরনো কথা বলতে গিয়ে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমার থেকে চার পাঁচ বছরের বড়।"

Supti Pandey On Mamata: 'আমি জানতামই না মমতা পলিটিক্স করে...'
সুপ্তি পাণ্ডেImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2024 | 12:55 PM
Share

কলকাতা: মানিকতলায় ৬২ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডে। সেই জয় তাড়িয়ে-তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয় শনিবার ভোটের ফল ঘোষণার পর পুরনো দিনের স্মৃতিচারণা করলেন জয়ী এই তৃণমূল প্রার্থী। কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। কোথায় প্রথম দেখা, রাজনীতিতেই বা কীভাবে এলেন সবটাই জানালেন সংবাদ মাধ্যমকে।

সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পর সুপ্তি পাণ্ডে হলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রায় সমবয়সী। এ দিন সেই সব তথ্যই তুলে ধরেন সংবাদ মাধ্যমে। পুরনো কথা বলতে গিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমার থেকে চার পাঁচ বছরের বড়। ও গ্র্যাজুয়েশনের পর অনেকদিন বসেছিল। নিজের কাজ করছিল। তারপর ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি নিয়ে এমএ পড়তে যায়। আমি পড়তে যাই সায়েন্স কলেজে। ও হয়ত ভাবত রাজনীতি করবে। আমরা জানতাম না মমতা আদৌ পলিটিক্স করে।”

এখানেই শেষ নয়, তিনি এও বলেন, “আমি বিয়ের পর সোমনাথ চ্যাটার্জীর পাশে ওকে দেখেছিলাম। শ্বশুরমশাইকে বললাম বাবা ইনি আমার চেনা। তারপর উপনির্বাচন এল। সেই সময় আমায় দেখে মমতা বলছে তুই কীভাবে এখানে চলে এলি। বললাম সাধনকে বিয়ে করে।” প্রসঙ্গত, মানিকতলার প্রয়াত বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর তাঁর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করে সাধন-জায়া সুপ্তিকে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল প্রার্থী হতে পারেন কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডে। পরে জানা যায় নির্বাচনে লড়ছেন সুপ্তি। তাঁর বিপরীতে লড়াই করেছিলেন বিজেপির কল্যাণ চৌবে। আজ সেই উপভোটের ফলাফল বের হয়। দেখা যায় সুপ্তি শুধু জিতেছেনই নন, সাধন পাণ্ডের থেকে অনেক বেশি মার্জিনে তিনি কল্যাণ চৌবেকে হারিয়েছেন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ২০ হাজার ২৩৮ ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী সাধন পাণ্ডে। সেই সময়ও বিজেপি প্রার্থী করেছিল কল্যাণ চৌবেকে। সাধন তৎকালীন সময়ে পেয়েছিলেন ৬৫ হাজার ৫৭৭ ভোট। আর কল্যাণ পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ৩৩৯ ভোট। ২০২৪-এর উপনির্বাচনে দেখা গেল সুপ্তি পাণ্ডের প্রাপ্ত ভোট ৮২ হাজার ৮৬১ ভোট। কল্যাণ চৌবে পেয়েছেন ২০ হাজার ৭৪৫ ভোট। অর্থাৎ ২০২১ সালের তুলনায় কল্যাণের প্রাপ্ত ভোট তো কমেছেই, তৃণমূল প্রার্থী বহু পিছনে ফেলে দিয়েছে তাঁকে।