Durga Puja 2022: শূন্যতায় ভরা অভিজিতের ‘স্মৃতির পুজো’র উদ্বোধনে শুভেন্দুরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Sep 27, 2022 | 10:44 PM

Durga Puja 2022: উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাহুল সিনহা, রুদ্রনীল ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা।

Durga Puja 2022: শূন্যতায় ভরা অভিজিতের স্মৃতির পুজোর উদ্বোধনে শুভেন্দুরা
অভিজিতের স্মৃতির পুজো

Follow Us

কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। সেই আঁচ ছড়িয়েছিল কাঁকুড়গাছিতেও। ২০২১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারও। তাঁর স্মৃতিতে স্মৃতির পুজোর আয়োজন করে আসছেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। এই পুজোয় আড়ম্বর নেই। জাঁকজমক নেই। কালো কাপড়ের মোড়া মণ্ডপে শুধুই শূন্যতা। মঙ্গলবার অভিজিতের স্মৃতির পুজোর উদ্বোধন হল। উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাহুল সিনহা, রুদ্রনীল ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অবশ্য সেখানে যেতে খানিক দেরি হয়। আগে সজল ঘোষের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার হয়ে তারপর কাঁকুড়গাছিতে অভিজিতের স্মৃতির পুজোয় পৌঁছান শুভেন্দু। এদিন পুজোর উদ্বোধনে এসে বিজেপির তারকা নেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “এই পুজো চোখের জলের পুজো। শাসকের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদের নাম অভিজিৎ। যাঁরা অশুভকে সরিয়ে শুভ কাজ করতে চান, তাঁদের মধ্যে অভিজিৎ বেঁচে আছেন। বড় অহংকারে কথা, এই পুজো সরকারের অনুমোদন না দেওয়া পুজো।”

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্মৃতির পুজোর উদ্বোধনে এসে বলেন, “এই পুজো বিরাট আড়ম্বরের নয়। কিন্তু এই পুজোর সঙ্গে বিজেপির অত্যাচারিত কর্মীদের একটি আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। অভিজিৎ নিজের হাতে মূর্তি গড়ে এই পুজোর প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলেন। অভিজিতকে গত বছর কীভাবে ভোট পরবর্তী হিংসায় হত্যা করা হয়েছিল, তা আপনারা জানেন। অভিজিতেক খুনিরা ধরা পড়েছে, কিন্তু চক্রান্তকারীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। আমরা মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম, চক্রান্তকারীরাও যাতে কঠিন সাজা পায়।”

উল্লেখ্য, গত বছরও স্মৃতির পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল কাঁকুরগাছিতে। এই পুজোর জন্য শুরু থেকেই রাজ্য সরকারের থেকে কোনও অনুদান নেওয়া হয় না। তবে এই বছর থেকে কাঁকুরগাছির পুজো নিয়ে অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এই বছর কাঁকুরগাছিতে অভিজিৎ সরকারের ‘স্মৃতির পুজো’র থিম করা হয়েছে ‘মায়েদের কান্না রক্তাক্ত বাংলা’।

Next Article