কলকাতা: কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhilkari) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। যা নিয়ে জোরদার চাপানউতর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এরমধ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে চলা তৃণমূলের বিদ্রুপ কর্মসূচিতে অন্য রঙ দিলেন তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। বাগবাজারে যমরাজ মন্দির আছে জানেন না অনেকেই। খুঁজে বের করেছেন যুব তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা কুন্তল ঘোষ। কেন? শুভেন্দু অধিকারীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে পুজো দেবেন বলে।
‘গেট ওয়েল সুন’ বলে তৃণমূল কর্মীরা বেশ কিছুদিন ধরেই চিঠি পাঠাচ্ছিলেন। কিন্তু কুন্তল ঘোষ একটু অন্যরকম ভাবলেন, “মানুষ দুরকমভাবে অসুস্থ হয়। একটা শারীরিকভাবে একটা মানসিকভাবে। মানসিকভাবে উনি বিকারগ্রস্ত হয়ে উঠেছে। উনি অনেক উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। সুস্থ মানুষের পক্ষে এরকমটা বলা একদমই সম্ভব নয়। বীরবাহা হাঁসদাকে যে কথা বলেছেন তা একেবারই সুস্থতার লক্ষণ নয়। তাই আমরা যমরাজের ওনার সুস্থতা কামনা করে কাছে পুজো দিতে এসেছি। উনি যে বিকারগ্রস্ত তা গোটা বাংলার মানুষ বুঝতে পারছেন। “কিন্তু বেহালা বাজছে কেন? কুন্তল বলেন, ” পুরো ব্যাপারটি খুব করুণ। তাই ঢাক নয়। বেহালা উপযুক্ত বলে মনে হল।” ঘটনা সম্পর্কে বিজেপি নেত্রী কেয়া ঘোষ বলেন, ” আমরা বলি যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা। শুভেন্দুবাবুর ভাল চান বলেই ওরা পুজো দিয়েছে। পার্থ-মানিকের মত আরও কত জনের নামে পুজো দিতে হবে। এখন বরংপুজো তুলে রাখুক ওদের নামে। “
অন্যদিকে এদিনই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে বীরবাহাকে। শুভেন্দুর পারিবারিক শিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এদিন হুগলির আরামবাগের ১৬ নং ওয়ার্ডের আদিবাসী সম্প্রদায়ের আয়োজিত বীরসা মুন্ডার ১৪৮ তম জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন, “ভাল মানুষ, শিক্ষিত পরিবারের মানুষ কখনওই এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। শুধু আদিবাসী সম্প্রদায় বলে বলছি না। যে কোনও মানুষকে জুতোর নীচে, পায়ের নীচে রাখার কথাটা ঠিক নয়। আমার মনে হয় শিক্ষার অভাব হয়েছে। ওনার পরিবারের শিক্ষায় কোনও না কোনও ক্রুটি রয়েছে। সে কারণেই তিনি এ মন্তব্য করেছেন।”