কলকাতা : রাজ্যপালের ‘হাতে খড়ি’ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন অনুপস্থিত ছিলেন, সেই ব্যাখ্যা অবশ্য অনুষ্ঠানের আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পেশ করেছেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সেই প্রতীকী ‘হাতে খড়ি’ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ওই অনুষ্ঠানে কেন ‘জয় বাংলা’ বলতে শোনা গেল রাজ্যপালকে? সেই প্রসঙ্গেও সচিবের দিকেই আঙুল তুললেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি, মমতা ও আইএএস আধিকারিক নন্দিনী চক্রবর্তীই ভুল বুঝিয়েছেন রাজ্যপালকে। আগামিদিনে তাঁদের পাতা ‘ফাঁদে’ রাজ্যপাল পা দেবেন না বলেই আশা প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু।
এদিন অনুষ্ঠান শেষে বাংলাতেই বক্তব্য পেশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেছেন, আমি বাংলাকে ভালবাসি। বক্তব্য শেষে বলেছেন, ‘জয় বাংলা, জয় হিন্দ।’ প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের মঞ্চে স্লোগান হিসেবে যে ‘জয় বাংলা’ ব্যবহার করা হয়, সেটা কেন শোনা গেল রাজ্যপালের মুখে? শুভেন্দু দাবি করেছেন, রাজ্যপালের এদিনের পুরো বক্তব্যটাই সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর লিখে দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই তিনি লিখেছেন বলেও দাবি শুভেন্দু। তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যপাল মহোদয়কে বোঝানো হয়েছে বাংলার জয়, মানে পশ্চিমবঙ্গের জয়। পশ্চিমবঙ্গের জয় তো আমরাও চাই। কিন্তু জয় বাংলা ভারতের স্লোগানই নয়। এটা বাংলাদেশের স্লোগান। ওদের সরকারি অনুষ্ঠানে হয়। এতে রাজ্যপালের কোনও ভুল নেই। ওঁকে দিয়ে বলিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ শুভেন্দুর দাবি, রাজ্যপাল বুঝতে পারলে নিশ্চয় আর ওই স্লোগান বলবেন না, বদলে বলবেন ভারত মাতা কি জয়।
রাজ্যপালকে তিনি অনুরোধ করে বলেন, ‘আগে সচিবালয় পরিষ্কার করুন।’ তাঁর দাবি, রাজ্যপালের সারল্যের সুযোগ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। আর ভুল বার্তা যায়, এমন সব কার্যক্রম কার্যকর করছেন সচিব নন্দিনী। শুভেন্দুর বক্তব্য, নিরক্ষর মানুষের হাতেখড়ি হতে পারে। কিন্তু সিভি আনন্দ বোস, যিনি একাধিক ভাষায় বই লিখেছেন, তাঁর হাতেখড়ি হয় কীভাবে!
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতের বিমানেই দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, শুক্রবার দিল্লিতে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল। এর থেকে বেশি কিছু জানা নেই। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘নিরপেক্ষ রাজ্যপালকে কি চাপ দিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট করার চেষ্টা চলছে?’