Suvendu Adhikari on Nabanna Abhiyan: ‘চোখ থেকে শুধু জল গড়িয়ে পড়ছে’, তিলোত্তমার মাকে হাসপাতালে দেখে এসে বললেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari on Nabanna Abhiyan: নির্যাতিতার মা বলেন, "কলকাতা পুলিশ মেরেছে। কয়েকজন পুরুষ পুলিশ, কয়েকজন মহিলা পুলিশ এসে আমাকে মেরেছে। হাতের শাঁখাটা ভেঙে দিয়েছে। পিঠে লেগেছে। আমাকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ধরে তুলেছে। ওর বাবাকেও মেরেছে।"

কলকাতা: শ্বাসকষ্ট-বমি-বমি ভাব। নবান্ন অভিযানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যান তিলোত্তমার মা। তাঁর দাবি পুলিশ মেরেছে তাঁকে। কপালে চোট পেয়েছেন তিনি। এমনকী, তাঁর শাখা ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ উঠছে। যদিও, পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।
এ দিন, তিলোত্তমার মা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাঁকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁকে দেখতে সেখানে পৌঁছন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। পাশাপাশি পৌঁছন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিলোত্তমার মাকে দেখে এসে বলেন, “উনি আহত হয়েছেন। এটা সিরিয়াস। MRI হয়েছে। তিলোত্তমার বাবা আপাতত সঙ্গেই আছেন। আর মায়ের শাঁখা-পলা ভেঙেছে। সিটি স্ক্যান করতে হবে। তবে ওঁর জ্ঞান আছে। দু’চোখ দিয়ে অঝোরে জল পড়ছে। সেটা হয়ত মেয়ের বিচার চাইতে গিয়ে মার খাওয়ার জন্য হতে পারে।”
নির্যাতিতার মা বলেন, “কলকাতা পুলিশ মেরেছে। কয়েকজন পুরুষ পুলিশ, কয়েকজন মহিলা পুলিশ এসে আমাকে মেরেছে। হাতের শাঁখাটা ভেঙে দিয়েছে। পিঠে লেগেছে। আমাকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ধরে তুলেছে। ওর বাবাকেও মেরেছে।” তিনি বলেন, “এখন হয়তো এখানে কয়েক জন আছে মাত্র। তার থেকে পুলিশ আধিকারিক অনেক বেশি রয়েছে। কোনও পুলিশ আধিকারিক এসে আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি। যতক্ষণ না ওরা ব্যারিকেড সরাবে, আমাকে কেন মারল সেই জবাব না দেবে ততক্ষণ এখানে বসে থাকব।” এরপরই আচমকা অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

