ব্যান্ডেল: পঞ্চায়েত ভোটের আগে যখন নির্বাচনী রণকৌশল তৈরি করার পালা, তখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির (BJP) অন্দরে বেশ অস্বস্তি। প্রথমত, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ডিসেম্বরের যে তিনটি তারিখের কথা উল্লেখ করেছিলেন, তার প্রথম দুটি দিনে তেমন বড়-সড় কিছুই হয়নি। আবার হাজরার সভা থেকে কারও নাম না করে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা নিয়েই তির্যক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। এমন এক অবস্থায় ব্যান্ডেলে দলীয় বৈঠকে বসেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপির বর্তমান হাল-হকিকত এবং আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
দলীয় সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী মণ্ডল ও বুথস্তরে সংগঠনের সশক্তিকরণের বার্তা দিয়েছেন। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বৈঠকের অন্দরে বলেছেন, “শেষ পর্যন্ত আমরা যদি ভোটের রাজনীতিতে যাই, পঞ্চায়েত যদি জিততে চাই, ১৮ লোকসভাকে যদি ২৫-এ নিয়ে চাই… তাহলে মণ্ডল এবং বুথস্তরে শক্তি বাড়াতে হবে।” মণ্ডল ও জেলা স্তরে কার্যকর্তার সংখ্যা বাড়ানোর বার্তাও দিয়েছেন তিনি। শুভেন্দুর স্পষ্ট বার্তা, দলকে ভোট রাজনীতির কথা মাথায় রাখতে হবে। ২০২৪ সালে কত আসন বিজেপি নিজের হাতে রাখবে, সেই পাটিগণিত কষতে হবে।
পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসার যে অভিযোগ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর উঠেছে, তার ছাপ এখনও নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে রয়ে গিয়েছে বলেও আশঙ্কা করছেন বিরোধী দলনেতা। বৈঠকে তিনি বলেছেন, “আমাদের মিছিল-মিটিং হচ্ছে। লোক আসছে। কিন্তু, সেই লোকগুলোকে যদি বুথে ফিরিয়ে দেন, কাজ করতে চাইছে না। কারণ, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ভয় তাঁদের মনে রয়েছে।”
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা বি এল সন্তোষ এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। সূত্রের খবর সুকান্ত মজুমদার বৈঠকের অন্দরে বলেছেন, “গুজরাটে আমরা ভাল ফল করেছি। হরিয়ানায় খারাপ ফল হলেও এবার বিজেপি চেষ্টা করেছে। সংগঠনের মাধ্যমে এখানে রাজনীতি করতে হবে।” বি এল সন্তোষও বার্তা দিয়েছেন, নিয়ম মেনে রাজনীতি করার জন্য এবং একত্রে কাজ করার জন্য।