কলকাতা: বুধবারই ইস্তেহার প্রকাশ করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা অমিত মিত্র সাংবাদিক বৈঠক ‘দিদির দশ শপথ’ পাঠ করে শোনান। ১০০ পাতার ইস্তেহারে প্রতিক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা পরিস্ফুট। বারবার সে কথা উল্লেখ করেছেন অমিত মিত্র। তৃণমূলের ইস্তেহার সম্পর্কে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন করা হয় রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, “ওটা পড়িনি। পুকুরে ইলিশ মাছ চাষের মতো।” কটাক্ষ করে শুভেন্দু আরও বলেন, “আঞ্চলিক দল। তার আবার ইস্তেহার।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রথম দফা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে ইস্তেহার প্রকাশ করে তৃণমূল। তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট, বাংলাই ‘মডেল’। বাংলার দেশেই গোটা দেশে উন্নয়ন করতে চায় তৃণমূল। ‘দিদির শপথ’ নিয়েছেন দশটি। কৃষি, শিল্প, সাস্থ্য, শিক্ষা সংস্কৃতি, ক্রীড়া সমেত বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য নতুন চিন্তাভাবনার ছাপ রেখেছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে বছরে দশটি গ্যাস সিলিন্ডার বিনামূল্যে দেওয়া থেকে শুরু করে, গোটা দেশে ‘আয়ুস্মান ভারত’ প্রকল্পের বদলে ‘স্বাস্থ্য সাথী কার্ড’ চালু করা, পেট্রো পণ্যের দাম নির্ধারিত করা ক্ষেত্রে, গোটা গেশেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু-সহ একাধিক বিষয় উল্লেখ রয়েছে ইস্তেহারে। এমনকি একশো দিনের কাজে ৪০০ টাকা বর্ধিত মূল্যে গ্যারান্টির কাজ!
এদিকে, ‘সঙ্কল্পপত্রে’ ‘মোদীর গ্যারান্টি’র উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আবার বিজেপির মোদী দলের ইস্তাহারে মহিলা, যুব সম্প্রদায়, কৃষক এবং গরিব মানুষকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। ‘মোদীর গ্যারান্টি’ বনাম ‘দিদির শপথ’ নিয়ে এখন জোর চর্চা। কোনটা কার্যকরী হয়, সেটা সময় বলবে। তবে তার আগে শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষের সুরে তৃণমূলের ইস্তেহারকে বললেন, ‘ পুকুরে ইলিশ মাছ চাষের মতো।’