কলকাতা : বিধানসভা অধিবেশনের রণকৌশল নির্ধারণের জন্য বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিশেষ অধিবেশনের আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। কিন্তু সেই অধিবেশনে থাকতে পারবেন না শুভেন্দু অধিকারী সহ গেরুয়া শিবিরে সাত বিধায়ক। তাই অন্যান্য বিধায়কেরা থাকবেন কি না, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। এ দিকে আবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ হওয়ার কথা এবারের অধিবেশনে। মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার যে প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে, সেই বিলও পেশ হবে এবার। তাই বিরোধীদের উপস্থিতি এবার খুন গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন পদ্ম শিবির। তাই দফায় দফায় বসছে বৈঠক।
বুধবারই কলকাতায় আসার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। বিজেপির পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে নাড্ডার কর্মসূচি শেষ হলে, নিজাম প্যালেসে বৈঠকে বসবেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই রাজ্যের সব বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে কথা হবে তাঁর। আলোচনা হবে বিধানসভার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে।
বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে কী ভাবে এগোবে, তা নিয়ে আগেও দফায় দফায় বৈঠক করেছেন শুভেন্দুরা। কিন্তু বুধবারের এই বৈঠক আরও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে কারণ সব বিধায়কেরা থাকবেন সেখানে। সাসপেনশন তোলা হলে কী করা হবে, সাসপেনশন তোলা না হলে কী করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অধিবেশন নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ আসছে বিধায়কদের কাছ থেকে, বিভিন্ন ভাবনার কথা বিধায়করা জানাচ্ছেন। এমনকি অনেক বিধায়ক দাবি করেছিলেন, বিরোধী দলনেতা থাকবেন না বলে এবার অধিবেশন বয়কট করতে চান তাঁরা।
গত ২৮ মার্চ ছিল বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন। তখনই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ব্যাপক গোলমাল হয় বিধানসভা ভবনে। তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে বচসা হাতাহাতি পর্যন্ত পৌঁছয়, জামা ধরে টানাটানির মত ঘটনা ঘটে, রক্তপাতও হয়। কার্যত চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এরপরই বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষ, নরহরি মাহাতো, দীপক বর্মনকে সাসপেন্ড করা হয়। ৭ মার্চ অধিবেশন শুরুর দিন রাজ্যপালের ভাষণ চলাকালীন যে গোলমাল হয়, তার জেরে দুই বিধায়ক নাটাবাড়ির মিহির গোস্বামী, পুরুলিয়ার সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করা হয়। সাত বিধায়কের সাসপেনশন নিয়ে জলঘোলা হয় রাজ্য রাজনীতিতে।
সূত্রের খবর, আগামী ১০, ১৩, ১৬ ও ১৭ জুন, এই চারদিন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের উপস্থিতি আবশ্যিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুভেন্দু। এই দিনগুলিতে বিধায়কদের সই আবশ্যিক করতে চান তিনি। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এখনও।