কলকাতা: আপাতত তিনটি মামলায় স্বস্তিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা তিনটি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল থাকল। ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা শুনবে না। কাঁথি নিরাপত্তা রক্ষী মৃত্যু মামলা, নন্দীগ্রামে মিছিল সংক্রান্ত মামলা, তমলুকে এস পি অফিসার নিয়ে মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চ আগে স্পষ্ট করেছিল, এখনই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নয়।
আপাতত সেই নির্দেশই কার্যকরী থাকছে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, এই মামলাগুলি শোনার এখনই আর কোনও প্রয়োজন নেই। কাঁথিতে শুভেন্দুর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীর অস্বাভাবিকমৃত্যুর প্রেক্ষিতে তাঁর স্ত্রী মামলা করেন। বাকি দুটি মামলা করে রাজ্য সরকার।
এর আগে ত্রিপল চুরি মামলায় সব ধরনের তদন্ত প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কাঁথি পুরসভার গোডাউন থেকে লক্ষাধিক টাকার ত্রাণের ত্রিপল লুঠের অভিযোগ ওঠে চলতি বছরের জুন মাসে। সেই ঘটনায় কাঁথি থানায় শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নামে এফআইআর দায়ের হয়। অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে কাঁথি পুরসভার পুরনো বিল্ডিং ডরমেটরি মাঠ সংলগ্ন পুর-গোডাউন থেকে ত্রিপল বার করা হয়েছে। আর তা শুভেন্দু অধিকারীর লোকজন করেছেন বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কাঁথি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য-সহ পুর প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতি। শুভেন্দু অধিকারী প্রভাব খাটিয়ে এই ধরনের ঘটনা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পুর প্রশাসক মণ্ডলীর দুই সদস্য হাবিবুর রহমান ও রত্নদীপ মান্না এবং কাঁথি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি, কাঁথি শহর যুব তৃণমূল নেতৃত্ব সুরজিৎ নায়ক গোডাউনের দায়িত্বে থাকা পুরসভার কর্মচারী হিমাংশু মান্নাকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে খবর। এরপরই কাঁথি থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
তারও আগে হাইকোর্টে সিদ্ধান্তে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক মামলায় বড় স্বস্তি পান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের অর্থ দফতরের স্পেশাল অডিটের নির্দেশে শুক্রবার স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। কাঁথি কোঅপারেটিভে বড়সড় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল সমবায় ব্যাঙ্কের ডিরেক্টরদের পক্ষ থেকে। অভিযোগ ছিল, দীর্ঘ দিন ধরেই কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে বেআইনিভাবে কর্মী নিয়োগ হয়েছে এবং টাকার নয়-ছয় হয়েছে। আপাতত সেই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। তবে এই মামলায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপরই এই মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।