কলকাতা: “বগটুইয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, মাটিয়ায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, তারই প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। তাই সাসপেন্ড হতে হয়েছে।” বিধানসভায় দুই পক্ষের বিধায়কদের হাতাহাতিতে সাসপেন্ড হওয়ার পর মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই ইস্যুতে তিনি ছাড়াও সাসপেন্ড হয়েছেন আরও চার বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মুসলিম মহিলাদের পুড়িয়া মারা, আর মুসলিম মেয়েকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। আমরা তার প্রতিবাদ করেছি, তাই সাসপেন্ড হয়েছি। এর থেকে খুশির খবর আর কী হতে পারে। কোনও ধিক্কার নয়, লড়াই নয়, আমাদের সাহস আরও বেড়ে গিয়েছে। আমরা যারা মুসলিম ভোট পাইনি, তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আদিবাসী, রাজবংশী, হিন্দু বিধায়কদের বহিষ্কার করেছে।”
সোমবার সকালে বগটুই ইস্যুই বিধানসভায় উত্থাপিত হলে, উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কক্ষ। বগটুই ইস্যুতে এদিনের অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপি বিধায়করা প্ল্যাকার্ড হাতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে একটি নিরাপত্তারক্ষীদের একটি বেষ্টনী তৈরি করা হয়। এই বেষ্টনীর অগ্রভাগে ছিলেন মহিলারা। এরপরই দেখা যায়, বিজেপির মহিলা বিধায়করা ওই সমস্ত মহিলা নিরাপত্তারক্ষীদের বেষ্টনী ভাঙতে তৎপর হন। তাতেই শুরু হয় কার্যত ধস্তাধস্তি।
জামা ছেঁড়া থেকে ঘুষি, গালিগালাজ-সবই করা হয়। রক্তাক্ত হন একাধিক বিধায়ক। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় অসিত মজুমদারকে। সোমবার সকালে বগটুই ইস্যুতে নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকে বিধানসভা। ঘটনার জেরে সাসপেন্ড হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাসপেন্ড করা হয়েছে আরও চার জন বিজেপি বিধায়ককে। মনোজ টিগ্গা, দীপক বর্মা, নরহরি মাহাতো, শঙ্কর ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়। এদিনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর বিধানসভায় পাঁচ বিজেপি বিধায়কের সাসপেন্ডের প্রস্তাব দেন ফিরহাদ হাকিম।
ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। শহরে রাজপথ মহামিছিলে নামেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমনি পর্যন্ত হয় মিছিল।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ ৫ বিজেপি বিধায়ক