Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর টুইটার হ্যান্ডেলে টেট পরীক্ষার নয়া ‘ফর্ম’! চরম কটাক্ষ বিরোধী দলনেতার

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 18, 2022 | 7:51 PM

Suvendu Adhikari: পাশাপাশি একটি টেটের একটি ব্যাঙ্গাত্মক 'আবেদন পত্র'ও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপি এই নেতা।

Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর টুইটার হ্যান্ডেলে টেট পরীক্ষার নয়া ফর্ম! চরম কটাক্ষ বিরোধী দলনেতার
গ্রাফিক্স: অভীক দেবনাথ

Follow Us

কলকাতা: জারি করা হয়েছে চলতি বছরের প্রাথমিক টেটের (TET) বিজ্ঞপ্তি। ১১ ডিসেম্বর হবে পরীক্ষা। গতমাসে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অ্যাড হক কমিটির সভাপতি গৌতম পাল জানান, ১১,০০০ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হবে। টেট পরীক্ষার এই নতুন নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারকে চরম কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। টুইটারে লিখলেন, ‘পরীক্ষায় অবশ্যই অংশগ্রহণ করবেন, কিন্তু আশায় বুক বাঁধবেন না। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের আমলে স্বচ্ছতা আশা করা আর পক্ষিরাজ ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হওয়া প্রায় সমান।’ পাশাপাশি একটি টেটের একটি ব্যাঙ্গাত্মক ‘আবেদন পত্র’ও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপি এই নেতা।

কী লিখেছেন শুভেন্দু?

মঙ্গলবার শুভেন্দু টুইটার হ্যান্ডেলে প্রথমে লেখেন, ‘যাঁরা অনেক আশা করে শিক্ষক হওয়ার জন্য পরীক্ষায় বসার ফর্ম পূরণ করতে চলেছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ–

পরীক্ষায় অবশ্যই অংশগ্রহণ করবেন, কিন্তু আশায় বুক বাঁধবেন না। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের আমলে স্বচ্ছতা আশা করা আর পক্ষিরাজ ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হওয়া প্রায় সমান।’ এরপর ব্যাঙ্গাত্মক আবেদন পত্রটি পোস্ট করেন শুভেন্দু যেখানে দেখা যায় নাম, বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি লেখা ‘অযোগ্য প্রার্থী হলে নিজের মোবাইল নম্বর লিখুন’, পাশাপাশি নিজস্ব বুথের তৃণমূল নেতার নাম ও মোবাইল নম্বর লেখার পরামর্শ দিয়েছেন শুভেন্দু।

এখানেই শেষ নয়, ওই আবেদন পত্রের একদম শেষে কিছু শর্তাবলীও লেখা রয়েছে। শর্তাবলীর ভিতরে কোথাও লেখা যে পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবেন তাঁদের অসীম ধৈর্য থাকতে হবে। কোথাও আবার পরামর্শ দিয়ে লেখা ঘুষের টাকা পরে তৃণমূল নেতার থেকে ফেরত চাইতে হলে টাকা দেওয়ার প্রমাণ গুছিয়ে রাখতে হলে। একই সঙ্গে যাঁদের বয়স উর্ধ্বসীমার কাছাকাছি রয়েছে তাঁদের আবেদন না করারই পরামর্শ দিয়েছেন শুভেন্দু।

অপরদিকে, পাল্টা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর কেচ্ছাগুলো যেভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পুলিশ তদন্ত করে বের করছে। পুরসভায় থাকাকালীন কম্বল, ত্রিপল, এমনকী আস্ত শশ্মানঘাটও নাকি বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল এই ঘটনাগুলি যখন সামনে আসছে তখন লোডসেডিং-এ জেতা বিরোধী দলনেতা ভয় পাচ্ছেন। তাঁকে এগুলো বলতে হচ্ছে। আমি শুধু একটাই কথা বলব আমি নিজের বিধায়কদের ধরে রাখুন। আপনার দলটাকে মজবুত রাখুন। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যদি তাসের ঘরের মতো দলটা ভেঙে যায় তাহলে খেলার মাঠে কোনও বিরোধীকে পাব না খেলার জন্য।’

 

 

 

 

 

 

 

Next Article