কলকাতা: অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে এবার নথি লোপাটের অভিযোগ। শুভেন্দু ও সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সারদার ফাইল লোপাটের অভিযোগ সামনে আসছে। বর্তমান কাঁথি পুরবোর্ডের তরফ থেকে পুলিশের কাছে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে নথি লোপাটের অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও অধিকারী পরিবারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কিছুদিন আগে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন, কাঁথি শহরের উপকন্ঠে একটি বহুতল নির্মাণকে কেন্দ্র করে ৫০ লক্ষ টাকা শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি দিয়েছিলেন। সেই সময়ে কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। বর্তমান পুরবোর্ড তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচালিত। পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে বর্তমান পুরবোর্ডের কাছে ওই প্রকল্পের নীল নক্সা দেখতে চায়। তখনই দেখা যায়, কোনও ধরনের কোনও ফাইল কিংবা নথি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তথ্য লোপাটের অভিযোগ তুলেছে বর্তমান কাঁথি পুরবোর্ড।
সুদীপ্ত সেন শুভেন্দু-সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ করেছিলেন?
গত ৩০ জুন এমপি এমএলএ আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে সারদাকর্তা বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। সুদীপ্ত সেন বলেন, “এর আগে যে চিঠি দিয়েছিলাম তাতে কিন্তু অনেকের নাম দিয়েছি। মুকুল রায়ের নাম দিয়েছি, অধীর চৌধুরীর নাম দিয়েছি। দ্বিতীয় চিঠিটায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম দিয়েছি। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ উনি আমাদের অনেক রকমভাবে ম্যানুপুলেশন করেছিলেন। উনি কন্টাইয়ে আমাদের একটা হাইরাইজার বিল্ডিং (আকাশচুম্বী ভবন) করার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা কন্টাই পুরসভাকে ডিপোজিট করলেন। আমাদের ওই বিল্ডিংয়ের কাজকর্ম করালেন। আমরা লেবার হাট সম্পূর্ণ করলাম। ৯০ লক্ষ টাকা দিয়ে লেবার হাট সম্পূর্ণ করি।”
তাঁর সংযোজন, “ওঁ (শুভেন্দু) আমাদের প্ল্যান দেননি। আগেও ওঁ টাকা নিয়েছিলেন। ওঁ কাঁথি পৌরসভাতে একটা বিল্ডিং করে দিয়েছিলেন আমাদের। এই ঘটনায় ওনার ভাই সৌমেন্দু অধিকারী পুরোপুরি জড়িত ছিল। আমি বিস্তারিত দিয়েছি। সিবিআইকে সব জানিয়েছি।”