কলকাতা: ‘আমাকে কবে চাকরি দেবে?’ টেট প্রার্থীদের তালিকায় নাম আছে শুনেই এমন প্রশ্ন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু শুভেন্দু নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ- এমন সব নামও রয়েছে ২০১৪-র টেট পরীক্ষার্থীদের তালিকায়। এই ইস্যুতে বিতর্কের সূত্রপাত হলেও, সেই বিতর্কে ইতিমধ্যেই জল ঢেলেছে পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বুঝিয়ে দিয়েছেন, একই নামের অনেক ব্যক্তি থাকতে পারেন। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে।
তিনি জানান, ২০১৪-র টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকায় শুভেন্দু অধিকারী বলে একটি নাম রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কবে আমাকে চাকরি দেবে? আমাকে যেন হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশের স্কুলে পড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়।’ এটা সরকারের ভুল বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যদিও পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য, এটা কোনও ভুল নয়। একই নামের একাধিক ব্যক্তি থাকতেই পারেন।
একই সঙ্গে এদিন অখিল গিরির মন্তব্য প্রসঙ্গেও আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতায় মহারাষ্ট্র, দিল্লি, ওড়িশা সব রাজ্যেই এফআইআর হয়েছে। তাঁর দাবি, সব জায়গায় যখন হয়েছে তখন এখানেও বাধ্য হবে এফআইআর করতে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘এ রাজ্যেতো আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন আছে। যার, কারণে এখানে কোর্টের হস্তক্ষেপ জরুরি।’
শুভেন্দু দাবি করেন, ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার ছাড়া রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। অর্থাৎ উন্নয়নের জন্যে কেন্দ্র ও রাজ্যে এক দলের সরকার প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে বলতে পারি ডবল ইঞ্জিন সরকার ছাড়া রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। নরেন্দ্র মোদী ও যোগী আদিত্যনাথ যে ভাবে হাতে হাত মিলিয়ে উত্তর প্রদেশের উন্নয়ন করেছেন, তার সুফল সেখানকার মানুষ পাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে অন্য রাজ্যে এখন আর লোক কাজের জন্যে যায় না। কিন্তু এ রাজ্য থেকে যায়।’